কোটা ইস্যুতে আপিল বিভাগের দেয়া রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রবিবার (২১ জুলাই) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায়কে শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে দেখছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এর আগে রোববার সকাল ১০টার পর কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত দুপুর দেড়টার দিকে রায় ঘোষণা করেন।
কোটা পুনর্বহাল ইস্যুতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। রায়ে আপিল বিভাগ জানান, সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এছাড়া ৫ শতাংশ হবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং এক শতাংশ থাকবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং এক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা।
টানা উত্তেজনা শেষে ডিমের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। খুচরা বাজারে ডিমের ডজন টানা কয়েকদিন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির আমদানি বাড়লে বাজার পুরো নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, এমনটাই মনে করছেন পাইকারি ডিমের আড়ত মালিকরা। সেইসাথে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি হওয়ায় এখন মোবাইলে এসএমএসে কোম্পানিগুলো দাম নির্ধারণ করছে না।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ডিমের আড়ত মালিকদের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে করপোরেট কোম্পানিগুলো বিক্রি করায় বাজারে ডিমের দামে স্বস্তি ফিরেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকার ডিম বিক্রির অন্যতম বড় পাইকারি বাজার হচ্ছে তেজগাঁও আড়ত। দেশের বিভিন্ন স্থানের খামার থেকে ট্রাকে করে এখানে ডিম আসে। এরপর তেজগাঁও থেকে ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজার ও পাড়া-মহল্লায় ডিম সরবরাহ হয়। ফলে তেজগাঁওয়ে ডিম বিক্রি বন্ধ রাখলে সাধারণত খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ে।
তেজগাঁওয়ে পাইকারি ডিমের আড়তদার ইসলামপুর পোলট্রি মালিক মেহেদী হাসান। সারারাত ডিম বিক্রি করার পর সকালে হিসেব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তিনি। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্যারাগন ও কাজী ফার্মের মত বড় বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো মোবাইল এসএমএসের দামে ডিমের দাম নির্ধারণ করতো। ফলে তাদের খেয়ালখুশি মত দাম ওঠানামা করতো।
মেহেদী হাসান স্বস্তি নিয়ে বলেন, গত দু'দিন থেকে সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর ডিমের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। দু'দিন থেকে মোবাইল এসএমএসে আর দাম নির্ধারণ হচ্ছে না।
আগস্ট মাসে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমা অঞ্চল ও উত্তর অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হওয়ায় বাজারে কাঁচাবাজারে বেশ প্রভাব পড়েছে। সেইসাথে এইসব অঞ্চলে মাছের ঘেরগুলো ডুবে যাওয়ায় মাছ বাজারেও অস্থিরতা চলছে। কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারে লাগামহীন দামে ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দামও উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের ধারণা আগামী মাস থেকে বাজারে সবজির আমদানি বেড়ে গেলে ডিমের দামও মানুষের নাগালে চলে আসবে।
ইসলামপুর পোলট্রি মালিক মেহেদী হাসানের দাবি, আগামী মাস থেকে বাজারে ডিমের দাম আরও কমে যাবে। কারণ শীতের সবজি আগামী মাস থেকে বাজারে আসতে শুরু করবে। সবজির দাম বেশি থাকায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। আগে আমার দোকান থেকে দৈনিক ৫০ হাজার ডিম বিক্রি হতো, এখন দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ হাজার ডিম বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আল্লাহর দান ডিমের আড়তের ম্যানেজার আল আমীন হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন সরকার নির্ধারিত দামে করপোরেট কোম্পানিগুলো ডিম দেওয়ায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি আসতে শুরু করেছে। বাজারে আজকে ১১ টাকা দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ডজন ১৩৩ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। করপোরেট কোম্পানিগুলো যদি সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করে তাহলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।
পাইকারি আড়তে ডিমের ডজন ১৩৩ টাকা বিক্রি হলেও রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার দোকানগুলোতে ১৫০ টাকা করে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে।
বনশ্রী এলাকার মেরাদিয়া বাজারে জব্বার স্টোরে সকালে দেখা যায় লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
তেজগাঁও পাইকারি বাজারে ডজন ১৩৩ টাকা হলে আপনার কিভাবে ১৫০ টাকা বিক্রি করেন জবাবে জব্বার স্টোরের মালিক রফিক জব্বার বার্তা২৪.কমকে বলেন, তেজগাঁও পাইকারি বাজার থেকে আমাদের সরাসরি ডিম আনা হয় না। আড়তের পরে আরও তিন থেকে চার হাত হয়ে আমাদের এখানে ডিম আসে। ফলে আমাদের বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।
টিসিবির তথ্য থেকে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট ডিমের দাম ছিল, ডজন প্রতি ১৫০ থেকে ১৬২ টাকা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ডিমের দাম বাড়তে থাকে। ধাপে ধাপে বেড়ে তা ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কখনো কখনো দাম ওঠে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। ২০২২ সালের আগে বছরজুড়ে ডজন প্রতি ডিমের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকায় ওঠানামা করত। দেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। আগে দিনে সাড়ে চার-পাঁচ কোটির মতো ডিম উৎপাদন হতো।
ডিমের লাগামহীন দামে বেসামাল বাজারকে সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকার গত ৮ অক্টোবর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর বাজারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদধারী স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ ১১তম গ্ৰেড প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের নেতারা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আখিল উদ্দিন, সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আখিল উদ্দিন বলেন, আমরা সমগ্র বাংলাদেশে এক লাখ বিশ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র (ইপিআই) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে শিশু ও মহিলাদের টিকা প্রদান কাজে নিয়োজিত। ১০টি মারাত্মক সংক্রামক রোগ- শিশুদের যক্ষ্মা, পোলিও, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের ৫ (পাঁচ) ভোজ টিটি/টিডি টিকা প্রদান করি। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামে ভিটামিন এ খাওয়ানো, কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো, যক্ষ্মা রোগি অনুসন্ধান, ওটস পদ্ধতির মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগীদের ঔষধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান ও কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করি। মাঠ পর্যায়ে কোভিড-১৯ এর টিকাদান ও মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা আমরাই প্রদান করি। আমাদের টিকাদান কার্যক্রমের সফলতার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সরকার অর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার এমডিজি এ্যাওয়ার্ড, ধনুষ্টংকার নির্মূল সনদ, পোলিও নির্মূল সনদ এবং সর্বশেষ গ্যাভী কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কার প্রদানসহ আরও অন্যান্য পুরস্কার প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে আমাদের সমগ্রেডে চাকরিরতদের সময়ের পরিক্রমায় বেতন সুযোগ সুবিধা গ্রেড বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসলেও সৃষ্টির সেরা জীব মানব শিশু স্বাস্থ্য ও মাতৃ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পরও তৃণমূলের স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। তাই আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসণের লক্ষ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান ১৩তম গ্রেড এবং ৪ বছর মেয়াদী ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা ট্রেনিং সাপেক্ষে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ ১১তম গ্রেড প্রদান করতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সহকারীদের এমআইএস'র মাধ্যমে নীড় পাতায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আখিল উদ্দীন বলেন, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন এবং ২০২০ সালের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিবের সঞ্চালনায় ডিজি ও অন্যান্য কর্মকর্তা এবং আমাদের নেতাদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভায় আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে যে সমঝোতা হয়, যা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই রেজুলেশনটি বাস্তবায়ন করার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে দাবি আদায় না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইপিআই সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম বর্জনসহ অন্যান্য সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবো। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি সরকারি ভাবে প্রজ্ঞাপণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচী অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সমন্বয়ক মো. ওয়াসি উদ্দিন রানা, এ কে এম মাইনুদ্দিন খোকন প্রমুখ।
চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষার জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সামুদ্রিক মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেশীয় মাছের ওপর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এসব মাছ উপকূলের মানুষের ক্রেতাদের নাগালে চলে গেছে।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে পাখিমার বাজারের মাছ বিক্রেতা হোসাইন গাজী বলেন, এর আগেও অনেক সময় প্রকারভেদে বিভিন্ন মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি অবরোধ চলছে, তাই মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি অবরোধ শেষ হলে এসব দেশীয় মাছের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কুয়াকাটার মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, নিত্য পণ্যের বাজার মোটেই কমতির দিকে নেই। সব জিনিসপত্রের মূল্যই বৃদ্ধি পেয়েছে একযোগে। ফলে অধিকাংশ ক্রেতারা দাম শুনেই মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছেন। কেউ কেউ মাছ না কিনে রাগান্বিত হয়ে চলেও যান।
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে ডাকের মাধ্যমে আমি চিংড়ি ক্রয় করেছি ৬০০ টাকা দরে। সারাদিন আমার মজুরি ও আনুষঙ্গিক খরচ আছে সে হিসেবে আমাকে কখনো ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। বাজারে মাছ না থাকায় দামটা একটু বেশি।
কথা হয় প্রতিদিন সকালে মাছ কিনতে আসা কেএম বাচ্চুর সাথে তিনি বলেন, আমরা যারা একটু মধ্যবিত্ত, সবসময় বড় মাছ তো কিনতে পারি না তাই একটু বেশিই চাহিদা থাকে পাঙ্গাশ মাছের দিকে। সেই পাঙ্গাশ মাছ ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা লাগছে। আমরা যাবো কোথায়?
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, সাড়া দেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে।কেউ যাতে অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর থাকবে।