প্রাণহানির বিচার বিভাগীয় তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা নেবে সরকার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যা ও অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা নেবে সরকার। এবিষয়ে বিদেশি কারিগরি সহায়তাও নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ এই তদন্তে সহায়তা নেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের (ইউএন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

জার্মান রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মানি) দৃঢ় আশাবাদী যে, একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত, তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।

রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোন সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নাই।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে, তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।

রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সাথে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।

দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল; প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।

ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেছেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুন্দ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।