সন্তোষজনক জবাব পেলে কাল ফেসবুকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
ফেসবুক, টুইটার, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ আগামীকাল থেকে সচল হতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার ফেসবুকের কাছে যেসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে তা সন্তোষজনক হলেই তবে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকার ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ইন্টারনেটসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ বন্ধ করে দেয়।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত রোববার সরকার মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেয়। এর আগে গত ২১ জুলাই রাতে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট ও ফেসবুক, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার।
রোববার বিটিআরসি সম্মেলন কক্ষে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইলফোন অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)সহ গোয়েন্দা সংস্থার সাথে বৈঠক শেষে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসূহ খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেন।
সরকার গত শনিবার ফেসবুককে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে সরকার গত এক মাসে দেশে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংসতা, অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। ওইসব কনটেন্ট তাদেরকে পাঠিয়ে তা নামানোর জন্য বলা হয়। যেসব কনটেন্ট নামানো হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অন্যান্য দেশে যেভাবে ফেসবুক তাদের পলিসি কার্যকর তা কি বাংলাদেশে করা হয়। তারা আওয়ামী লীগের ৫০টি পেজ ও একাউন্ট ব্লক করেছে। অথচ একই ধরনের কাজ করা বিএনপির কনটেন্টগুলো কেন নামানো হচ্ছে না। অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড এগুলোর ব্যাপারে তারা দায়িত্বশীল কোনো ভূমিকা রাখেনি। যেসব অপপ্রচার হলো ফেসবুকের মাধ্যমে, গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে এর বেশ কয়েকঘণ্টা পর ৫ জনের মৃত্যু হয়। এর দায় কি ফেসবুক এড়াতে পারে। তাদেরকে লিখিত ও মৌখিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ঢাকায় এসে তারা এ ব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা দিলেই তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ফেসবুক বন্ধের বিষয়টি আলোচনা হয়েছিল। প্রধন নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে কয়েকজন সচিব এই দাবি তুলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ হয়নি। তবে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির সময়ও বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ও অ্যানালিটিক্সি প্ল্যাটফর্ম নোপোলিয়নক্যাটের এক তথ্য বলছে, গত বছর জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুকের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ।