অসহযোগ আন্দোলন সফল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫ নির্দেশনা
রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি সফল করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৫টি নির্দেশনা ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ফেসবুকের এক পোস্টে এসব নির্দেশনা জানান। নির্দেশনাগুলি হচ্ছে-
১. কেউ কোনো ধরনো ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না ২. বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না ৩. সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল-কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না। মাস শেষে বেতন তুলবেন ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে
৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন না ৬. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন ৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
৮. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না। গার্মেন্টসকর্মী ভাইবোনেরা কাজে যাবেন না ৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না ১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে ১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে
১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
১৩. বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে ১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না। ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না ১৫. বিলাসদ্রব্যের দোকান, শোরুম, বিপনি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
তবে জরুরিসেবা এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন- ওষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে।