মায়ের অভিযোগে কবর থেকে তোলা হলো শিশুর মরদেহ
আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলায় বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৪ মাস বয়সি শিশু নূর সাফায়েত মিজানের মরদেহ দাফনের সাড়ে সাত মাস পর করব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। লাশটি তোলার পর ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বগুড়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (৩ আগস্ট) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফের উপস্থিতিতে পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক নন্দীগ্রাম কচুগাড়ি কবরস্থান থেকে শিশুটির লাশ উত্তোলন করেন।
জানা গেছে, নন্দীগ্রামের শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি একেএম ফজলুল হক কাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমের ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজান সাত মাস আগে মারা যায়। এঘটনায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে এনে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন শিশুর মা। ওই মামলায় আসামি করা হয় কাশেমের প্রথম স্ত্রীর পক্ষের ছেলে জোবায়ের হোসেন সেতু, মেয়ে নূর আফরোজ জ্যোতি ও পুত্রবধূ সাথী আকতারকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামিরা ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। চলতি বছরের ১৩ মে এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই শিশুর মা সালমা বেগম। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই বগুড়াকে আদেশ দেন। এরপর পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক মামলাটির তদন্ত শুরু করেন।
এসআই নাজমুল হক বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদমান আকিফ জানান, বাদীর উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আবারো দাফন করা হবে।