সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদেরকে নিরাপত্তা দিন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সহিংসতার ওপর যাতে কোনো ধরনেরে সহিংসতা না হয়, সেজন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। সেইসঙ্গে কুচক্রী মহলের কালোহাত ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার (৫ আগস্ট) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি এ আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি’র দ্বিতীয় দিনে ‘লংমার্চ-টু-ঢাকা’ গণঅভ্যুত্থানের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। এর পর সারাদেশে সাধারণ মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর পেয়ে লাখ লাখ মানুষ ঢাকার রাস্তায় নেমে আসেন।
এরই ফাঁকে সুযোগ-সন্ধানীরা লুটপাটে মেতে ওঠে। গণভবন থেকে অনেকেই যা কিছু পেয়েছেন, তা লুট করে নিয়ে যেতে শুরু করেন। এছাড়া মন্ত্রীসহ বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের বাড়িতে হামলা করা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
এদিকে, দুপুরের পর থেকে ঢাকার বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তাঘাটে যানবাহন দেখা যায়নি।
এদিকে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-এর এক সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আন্দোলনে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সব সংখ্যালঘুদের রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কুচক্রী মহল সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে সানজানা বলেন, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো কুচক্রী মহল যেন সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কোনো প্রকার অসভ্যতামি না করতে পারে, এব্যাপারে সাধারণ মানুষ সবাই সচেতন থাকুন।
তিনি বলেন, কুচক্রীর কালোহাত ভেঙে দেবেন। মনে রাখবেন, আমাদের বিদ্রোহ ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা আর কোনো বৈষম্য চাই না। সংখ্যালঘুদের ওপর যাতে কোনো সহিংসতা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করে সানজানা বলেন, সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ভাইবোনদের বাড়িতে কোনো সহিংসতা করবেন না।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদেরকে নিরাপত্তা দিন। তাদেরকে নিজের বাসায় আশ্রয় দিন। আমরা আর কোনো বৈষম্য চাই না। সন্ত্রাসী লীগের গুলিবিদ্ধ আর লাশ চাই না।
সানজানা তার বক্তব্যে আরো বলেন, আপনাদের বিদ্রোহ ধরে রাখবেন। এই বিদ্রোহী চেতনা থামাবেন না। আর কেউ যেন এসে আপনাদের দমাতে না পারে। পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় এই বিদ্রোহ ধরে রাখেন।