শঙ্কা কাটিয়ে ফিরছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা
সব ধরনের শঙ্কা কাটিয়ে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীর ব্যস্ততম বিপনি-বিতান কেন্দ্র নিউমার্কেট ও আশেপাশের বিভিন্ন মার্কেটগুলো। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতন ও সহিংসতা, বিশৃঙ্খলায় এসব বিপনি-বিতান প্রায় চার দিন ধরে বন্ধ ছিল।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন নিউমার্কেট ও আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন বিপনি-বিতান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এসময় শঙ্কা কাটিয়ে ব্যবসায়ীদের আবারও তাদের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।
ঢাকা নিউমার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট, বলাকা অ্যান্ড চাঁদনী চক মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গ্লোব শপিং মল, নুরজাহান মার্কেটসহ সবগুলো বিপনি-বিতানই এদিন খুলতে দেখা যায়।
বিপনি-বিতানগুলো খুললেও এদিন ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। দুপুরে ক্রেতা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা বাড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাদের ভাষ্য, এখনো দেশের জনগণ স্থির হতে পারেননি। দেশের পরিস্থিতি উন্নত হলে ক্রেতারাও আসবেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আতঙ্কের কারণে চারদিন সব মার্কেট বন্ধ থাকলেও তারা আস্তে আস্তে পরিস্থিতি হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। বৃহস্পতিবার থেকে তারা আবার নতুন করে মার্কেটগুলো খোলা শুরু করেছেন। ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। তবে ক্রেতা সমাগম স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে চান তারা।
পোশাকের দোকান রাজশ্রী ফ্যাশনের মালিক আকাশ মাতবর বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখনো বিক্রি তেমন হচ্ছে না। লোকজনও কম। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) থেকে দোকান খুলছি, লোকজন না থাকায় ব্যবসাও নাই। বেচাবিক্রি কম। গত এক-দেড় মাস ধরেই এমন অবস্থায় আছি। এইভাবে চললে কর্মচারীদের বেতন দেওয়ায় সমস্যা হয়ে যাবে।
ফ্রেন্ডস ট্রেডিং করপোরেশন নামের স্টেশনারি দোকানের বিক্রয় কর্মী হামিদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্কুল ও কলেজ বন্ধ, আমাদের ব্যবসাও বন্ধ। প্রায় মাসখানেক হতে চললো কোন রকম বিক্রি নাই। মহাজনেরও সমস্যা, আমাদেরও সমস্যা। এখন স্কুল, কলেজ খুলছে শুনছি। তাহলে যদি একটু বিক্রি বাড়ে।
নিউমার্কেটে নিজের ছোট ছেলের জন্য কিছু কাপড় কিনতে আসছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সোহেল আহমেদ।
দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশ কয়েকদিন বাসা থেকে খুব একটা বের হননি জানিয়ে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই কদিন খুবই আতঙ্কের মধ্য দিয়ে গেছে। কার, কখন, কি হয় সব কিছু নিয়েই এক অনিশ্চয়তায় কাটিয়েছি। এখন দেশের অবস্থা ভাল হচ্ছে তাই আজ বের হয়ে বাচ্চার জন্য কিছু কাপড় কিনতে আসলাম।
এসময় সড়কেও মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষদেরকেও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় রিকশা থেকে শুরু করে সকল পরিবহনকেই ল্যান মেনে চলতে দেখা যায়।