বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গণ অভ্যুত্থানে ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটে। সরকার পতনে সৃষ্ট অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এই সরকারকে রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ১৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ প্রস্তাব তুলে ধরে।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকার পতনের পর দেশের অনেক এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এমন সময়ে চরম পক্ষপাতদুষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
দেশের এমন অবস্থায় সুজন সম্পাদক বলেন, বর্তমান গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার অতি দ্রুততার সাথে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। নাগরিকদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে অবিলম্বে অরাজকতা নিয়ন্ত্রণসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ। জুলাই-আগস্টে সহিংসতায় নিহতদের তালিকা তৈরি, পরিবারকে সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান। আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসাসহ পরবর্তীতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করা। দ্রুত জাতিসংঘের অধীনে তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ এবং দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় শান্তির ব্যবস্থা করা।
একই সাথে রাষ্ট্র সংস্কারে ১৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
>> সুজন মনে করে রাষ্ট্র সংস্কারে বর্তমান সংবিধান সংশোধন জরুরি।
>> সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান সংস্কার।
>> নির্বাচনী পদ্ধতি পরিবর্তন ও নির্বাচনী আইনের সংস্কার।
>> দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা।
>>নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন।
>>সংসদের কার্যকারিতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
>>বিচার বিভাগের স্বাধীনতা।
>>স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ।
>>দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
>>অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস।
>>মানবাধিকার সংরক্ষণ।
>>নারীর ক্ষমতায়ন।
>>তরুণদের জন্য বিনিয়োগ ও তাদের ও তাদের নেতৃত্বের বিকাশ।
>>মানসম্মত শিক্ষা।
>>গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
>>পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করা।
>>পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা।
>>রাজনৈতিক দলের সংস্কারসহ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন।
>>নাগরিক সক্রিয়তা বাড়ানো।