বিভিন্ন শাক-সবজির আগমনী বার্তায় স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে শীতকাল। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা চড়া থাকলেও ধীরে ধীরে কমে এখন তা চলে এসেছে হাতের নাগালে। সেই সঙ্গে কমেছে সবধরনের মুরগীর দামও। ফলে পকেটে টান কম পড়ায় কিছুটা স্বস্তিতে জনমানুষ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কচুক্ষেত ও ইব্রাহীমপুর কাঁচা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিন মুরগীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার, কক সহ প্রায় সব ধরনের মুরগীতেই ১০-২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লা্র ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। এছাড়াও সোনালি ২৯০-৩০০ টাকা, লেয়ার ৩৪০-৩৫০ টাকা, দেশি ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুরগীর দাম কমার বিষয়ে বিক্রেতা আফজাল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সব মুরগীর দাম কমছে। গত সপ্তাহ ব্রয়লার বিক্রি করছে ২১০-২২০ করে। এই সপ্তাহ ২০০ টাকারও নিচে নেমে গেছে। সোনালী, লেয়ারের দামও কমছে কিছুটা।
সরেজমিনে কাচাঁ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ৬০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, পাতা কপি ৩০ টাকা, পিঁয়াজের কালি ১৫ টাকা আটি, চিচিঙ্গা ৫০, সিম প্রকার ভেদে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, কাচা মিষ্টি কুমড়া মাঝারি আকারের প্রতি পিস ৬০ টাকা, কাচা মরিচ কেজি ৬০ টাকা, লাউ আকারভেদে প্রতি পিস ৫০-৬০, কালো বেগুন ৬০, লম্বা বেগুন ৫০, সাদা বেগুন ৬০, শালগম ৩০, শশা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া নতুন আলু ৫০ টাকা, নতুন দেশি পিঁয়াজ ৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ২০০, দেশি আদা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। চলতি সপ্তাহেও বাজারে সাদা ডিম ডজন ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, লাল ডিম ডজন ১৩০-১৩৫ এবং হাসের ডিম ডজন ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এখন সহনীয় পর্যায়ে আছে কি না জানতে চাইলে বাজার করতে আসা আব্দুল হেলাল নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এখন তো দাম অনেকটায় কমছে। মানুষও স্বস্তি পাচ্ছে। তবে খবরে দেখি, বিভিন্ন জায়গায় কৃষকরা দাম পাচ্ছে না বলে ফসল নষ্ট করে ফেলছে, অথচ সে তুলনায় তো দাম বেশিই। কৃষক যেনো সঠিক দামটা পায়, ভোক্তাও স্বস্তিতে থাকে সে বিষয়টাই সরকারকে নজর দিতে হবে।