পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে, আরও কমার আভাস
দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা হঠাৎ ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে। ফলে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে এ শীতের মধ্যে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর এ জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত উত্তরে হিমেল হাওয়া এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায়। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে হালকা কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। এতে সকালে কাজে বের হওয়া নিম্ন এ দিনমজুর, কৃষি, পাথর ও চা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষরা পড়েন চরম বিপাকে। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল সহ জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ শীত জনিত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা শহরে ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম বলেন, শীতের কারণে ভ্যান চালানো যাচ্ছে না। আমাদের আয় কমেছে। শীতের কাপড়ের অভাবে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
একই কথা বলেন জেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার পাথর শ্রমিক মালেকা বানু, শীতের কারণে আমরা কাজকর্ম করতে পারছি না। আমার জীবনে কষ্ট হচ্ছে। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে কোন সহযোগিতা আমরা পাই না। এই শীতের মধ্যে যদি একটু শীত বস্তু পেতাম তাহলে অনেক উপকার হত আমাদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্নের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর এ জেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহে আরও শীত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।