লালমনিরহাটে সাবেক মন্ত্রীর চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার আসামিরা হলেন, নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শামসুজ্জামান আহমেদ (৫৫), কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (৫৬) কালীগঞ্জের কেইউপি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুজ্জামান আহমেদ (৫৭) এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ (৫৩)। মামলায় আসামি হিসেবে তারাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০-৫০ জনকে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭ আগস্ট বিকেলে কালীগঞ্জের শ্রীখাতা মৌজায় তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তার জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা লাঠি, লোহার রড, ছোরা, হকিস্টিকসহ সেখানে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে হুমকি-ধমকি দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সীমানা প্রাচীর ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করতে থাকলে মামলার বাদী তাবাসসুম রায়হান তাদের বাধা দেন। এ সময় হামলাকারীরা তার হাতে, পায়ে, পিঠে ও নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাদী তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বলেন, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীর মাধ্যমে গতকাল বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক অভিযোগের শুনানির পর এটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে আদেশ দেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী অভিযোগটির বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।