আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১২ প্রবাসী ফিরলেন চট্টগ্রামে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রচেষ্টায় দেশটির সরকার এই প্রবাসীদের ক্ষমা করে দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এয়ার আরাবিয়ার দুটি পৃথক ফ্লাইটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরেছেন।

এর মধ্যে ৮টা ১০ মিনিটে শারজা হতে আসা ফ্লাইটে একজন এবং রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে আবুধাবি থেকে আসা ফ্লাইটে ১১ জন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

বিজ্ঞাপন

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দেশে ফেরা ১২ প্রবাসী হলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দে (৪০), হাটহাজারী এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৫০), নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মো. মইনুল ইলাম (২৪), রাউজানের এস্কান্দার হোসেন (৩৭), সীতাকুণ্ড এলাকার মো. রাকিবুল হোসেন বাবু (৩৬), বি বাড়িয়ার আফছারুল আমিন (৪৪), রাউজানের সায়েদুল হক (৪২), নগরীর কোতোয়ালী এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল হক জসিম (৩৪), রাউজানের মো. শাহাজাহান (৪১), হাটহাজারীর মো. হারুন (৪৭), হাটহাজারীর মেহেরাজ উদ্দিন রাসেল (২২) ও রাউজানের মো. কাউছার (২৬)।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার হওয়ার পর কি হবে সেটি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন বলেন জানিয়েছেন দেশে ফেরা বোয়ালখালীর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দে। তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা খুবই কষ্টে ছিলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমাদের ভাগ্যে কি হবে। কিন্তু অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান আমাদের বিষয়ে আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন, যা আমরা কল্পনাও করিনি। এখন প্রত্যাশা হচ্ছে, আবারও আমরা যেন সেখানে যাতে ব্যবসা কর‍তে পারি সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া। আমাদের বিশ্বাস, ড. ইউনূস স্যার চাইলে সেটাও সম্ভব হবে।

এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ জনের শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন।

দেশে চলা কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষমা করে দেওয়ায় তাদের সেই শাস্তি পেতে হচ্ছে না।