মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি কোম্পানিতে কয়েক মাস ধরে প্রায় ২০০ বাংলাদেশি বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে কোম্পানি থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য কোম্পানিটির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কাওয়াগুছি মেন্যুফেকচারিং এসডিএন বিএইচডি নামক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২০০ জন বাংলাদেশি কর্মীর বকেয়া বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত ২ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কোম্পানির নির্ধারিত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশি কর্মীদের পক্ষ হতে ৯ জন প্রতিনিধি নিয়ে হাইকমিশনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সমস্যার কারণ ও তা সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নির্ধারণ করা হয়। এসময় প্রথম দফায় আংশিক বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
এ প্রেক্ষিতে কোম্পানির পক্ষ হতে গত শুক্রবার, (৬ সেপ্টেম্বর) বকেয়া বেতনের আংশিকম, ৩ লাখ রিঙ্গিত পরিশোধ করা হয়। কোম্পানির সভা কক্ষে হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বকেয়া বেতনের ৩ লাখ রিঙ্গিত প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় কোম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কোম্পানির চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানির পক্ষ হতে অবশিষ্ট বকেয়া বেতন নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন কোম্পানি ও বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে ধারাবাহিক যোগাযোগ রক্ষা করবে বলে সভায় জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দুই সাংবাদিককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন ডেইলি স্টারের শুচিস্মিতা তিথি এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নাইম আলী।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই দুই সাংবাদিককে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) জাতীয় বেতনের স্কেল, ২০১৫ এর গ্রেড-৯ ভুক্ত ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা স্কেলের সর্বোচ্চ ধাপ ৫৩০৬০ টাকা নির্ধারিত বেতনে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সুচিস্মিতা তিথি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে দ্য ডেইলি স্টারে সাংবাদিকতা করছেন। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাংবাদিক নাইম আলী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী ও শ্যালকের মৃত্যুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবার মারা গেলেন শাশুড়ি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মারা যান চাচী শাশুড়ী শিরীন আক্তার। আর আগে বুধবার বিকেলে মারা যান স্ত্রী শারমিন আক্তার ও তার চাচাতো ভাই রুবেল হোসেন। ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তারা।
১৩ সেপ্টেম্বর নিহত শারমিনের ভাই শামীম হোসেন বাদী হয়ে শারমিনের স্বামী হাসান আলীকে (৩২) আসামি করে সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঘাতক হাসান আলীকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
জানা যায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গওলা গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে ধামারাইয়ের রাজাপুর গ্রামের হাসান আলীর ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৯ বছরের রোহান নামের এক ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে অমানবিক নির্যাতন করত। এ নিয়ে শারমিন আক্তার বেশ কয়েকবার বাবার বাড়ি চলে আসে।
সাটুরিয়া ইউপি চেয়াররম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শারমিন আক্তার বাবার বাড়ি এসে স্বামী হাসান আলীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ খবর শুনে হাসান আলী শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ি আসেন। স্বামী আসার খবর শুনে শারমিন তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় হাসান আলী চাচা শ্বশুরবাড়ির বাথরুমের উপর দিয়ে রুমের ফলস সিলিং ভেঙে রুমে প্রবেশ করে। পরে তিনি পেট্র্রোল দিয়ে শারমিনের শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় শারমীনকে বাঁচাতে এসে চাচি শিরীন আক্তার ও চাচাতো ভাই রুবেলের শরীরেও আগুন লেগে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
শারমিনের ভাবি লিজা পারভিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ননদ শারমিন তার স্বামীকে তালাক দেবে বলে সব ধরণের কাগজপত্র ঠিক করছিল। কিন্তু এ খবর পেয়ে ননদের স্বামী হাসান আলী শুক্রবার সকালে এসে শারমিনের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শারমিনকে বাঁচাতে এসে চাচি শিরীন আক্তার ও চাচাতো ভাই রুবেলের শরীরেও আগুন লেগে যায়।
লিজা আরো বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার শারমিন ও রুবেল মারা যায়। বৃহস্পতিবার শারমিনের চাচী শিরীন আক্তারও মারা যায়।
সাটুরিয়া ইউপি চেয়াররম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু আরো বলেন, ওই দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেবে শুনে স্বামী হাসান আলী গায়ে পেট্রোল দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আরো দুইজন আগুনে পুড়ে গেছে। তিনজনেরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মানবেন্দ্র বালো বলেন, ঘটনার রাতেই স্বামীকে আসামী করে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলমের বিরুদ্ধে প্রকাশিত ‘অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের’ প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
ওই দৈনিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আশরাফুল আলম এবং আসাদুল আলম মাহির ভূয়া ‘পে অর্ডারের' মাধ্যমে অনিয়মের আশ্রয় নেন বলে দাবি করা হয়।
এস আলম গ্রুপের মনোনীত প্রতিনিধি মনোতোষ চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিবেদনটি অসত্য এবং অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
এস আলম গ্রুপ মনে করে, প্রতিবেদক পুরো প্রক্রিয়াকে ভুল বুঝে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন, কালোটাকা সাদা করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুসরণ করে ট্যাক্স ফাইল জমা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অর্থ সাদা করার বিষয়টির প্রেক্ষাপট যাচাই করতে প্রতিবেদক কর কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন। প্রতিবেদন অনুসারে উভয় ফাইলেই, অর্থ সাদা করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 19AAAA এর অধীনে প্রদত্ত ৩০.০৬.২০২১ তারিখের আগে পে-অর্ডার ইস্যু করে রিটার্ন জমা দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেদক আরও উল্লেখ করেছেন, ‘নথিপত্র অনুসারে, আশরাফুল এবং আসাদুল ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকার দুটি পে অর্ডারের মাধ্যমে প্রথমবার এই কালো টাকা সাদা করতে ব্যর্থ হন। তবে কয়েকমাস পরে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করে তারা সফল হন। এতে বোঝা যায় প্রথম দুটি পে অর্ডার ভূয়া ছিল।’
এস আলম গ্রুপের দাবি, প্রতিবেদক বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেছে।
এস আলম বিবৃতিতে জানায়, যেহেতু রিটার্নের সাথে পে-অর্ডার জমা দেওয়া হয়েছিল। এবং তা আদায়ের জন্য কর অফিস ব্যাংকে পেশ করেছিল। সংগ্রহের জন্য ব্যাংকে দেওয়া হলে ট্যাক্স অফিসের পে-অর্ডারগুলোর সাথে অসাবধানতাবশত নম্বরগুলো স্ট্যাম্প করা হয়েছিল। পে-অর্ডার নগদ না হওয়ায়, ট্যাক্স অফিস নতুন পে-অর্ডারের অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠায়। তাদের চিঠির প্রেক্ষিতে, ত্রুটিপূর্ণ পে অর্ডার আদেশ বাতিল করা হয় এবং নতুন পে অর্ডার জারি করা হয়। যা পরবর্তীতে সঠিকভাবে দেওয়া হয়।
যেহেতু উল্লিখিত পে-অর্ডারগুলো দেরিতে সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাই বিষয়টি নতুন যুগ্ম কমিশনার অব ট্যাক্সেসের নজরে আসে বিষয়টি। যুগ্ম কমিশনার আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১২০ এর অধীনে একটি নোটিশ জারি করেন এবং পে অর্ডারের সত্যতা যাচাই করার জন্য কর পরিদর্শককে ব্যাংকে পাঠান। ট্যাক্স ইন্সপেক্টর ব্যক্তিগতভাবে ব্যাংক পরিদর্শন করেন এবং জমাকৃত পে অর্ডারের সত্যতা যাচাই করেন এবং জারিকৃত পে অর্ডার সঠিক বলে তারা তার প্রমাণ পান। এর ফলে যুগ্ম কর কমিশনার ১৪৪ ধারার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
উপরোক্ত বিবৃতি অনুসারে, এটা প্রমাণিত হয় যে, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এ যোগ করা ধারা 19AAAA এর অধীনে প্রদত্ত সমস্ত বিধান এবং সুবিধাগুলি মেনে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে যথাযথভাবে কর প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু 19AAAA ধারার বিধান সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা হয়েছে, কর ফাঁকির প্রশ্নই ওঠেনি।
গ্রুপ তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, প্রতিবেদক পুরো প্রক্রিয়ার নিয়ে ভুল বুঝেছেন। তার ভুল তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। তাই প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানায় এস আলম গ্রুপ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালযয়ের (বিএসএমএমইউ) সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুল হক নিপুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।