‘ভালো না হওয়া’ সেই মাসুদের ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পেল কর্তৃপক্ষ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘ভালো না হওয়া’ সেই মাসুদের ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পেল কর্তৃপক্ষ

‘ভালো না হওয়া’ সেই মাসুদের ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পেল কর্তৃপক্ষ

ঠিকাদার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা মাসুদুল ইসলাম বিরুদ্ধে বিভাগীয় মোকদ্দমা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন কর্মচারী বিধি অনুযায়ী তার উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘হিসাব বিভাগের হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মোকদ্দমা জারী করা হয়েছে৷ মাসুদুল ইসলামকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৪৯ দফা (খ) অনুসারে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং কেন উনাকে উক্ত বিধি মোতাবেক উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে না তা নোটিশ পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।’

গত ২৬ আগস্ট মাসুদুলের ঘুষ গ্রহণের এক মিনিট ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, ঠিকাদারকে বিলের চেক বুঝিয়ে দিচ্ছেন মাসুদুল ইসলাম। সামনের জন চেক নিতেই দুটা ৫০০ টাকা নোট মাসুদুলের হাতে তুলে দিলেন। দ্রুত ওই টাকা প্যান্টের পকেটে ঢোকান মাসুদুল। পাশের আরেকজন ঠিকাদারও চেক নিতেই ঘুষের টাকা বুঝিয়ে দিলেন। সেটিও কোনো রাখঢাক না করেই প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন মাসুদুল।

বিজ্ঞাপন

কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করে বার্তা২৪.কম-কে জানান, উন্নয়নকাজের বিলের চেক নিতে গেলে ঘুষ দেওয়াটা চসিকে নিয়মেই হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেকে টাকার অংক কম হলে অন্তত ৫০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। চেকের অংক যত বেশি ঘুষের পরিমাণও তত বেড়ে যায়।

গত ২৭ আগস্ট মাসুদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে চসিকের সচিব বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।