‘আবু সাঈদ হত্যায় জড়িতদের প্রমাণে বেশি সাক্ষীর প্রয়োজন হবে না’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কমিশনার মো. মজিদ আলী

কমিশনার মো. মজিদ আলী

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় জড়িতদের প্রমাণ করতে খুব বেশি সাক্ষীর প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার মো. মজিদ আলী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, আবু সাঈদ যেভাবে শহীদ হয়েছেন, সেটি দেখে বিশ্বের মানুষ শিহরিত হয়েছে। আমি যোগদানের পরেই আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি এবং পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি।

পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকে পুলিশের ভালো ভূমিকা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী পুলিশ বাহিনী সব ভালো কাজ করেছে, সেটা যেমন নয়, তেমনি সব খারাপ কাজও করেনি। রাষ্ট্রগঠনসহ দেশের মানুষের কল্যাণমূলক কাজ করেছে এই পুলিশ। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী ও অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যের জন্য পুলিশ বাহিনীর আজকের পরিণতি। কিন্তু এটা মাথায় নিয়ে সরে থাকলে কিংবা সমাজ থেকে আলাদা থাকলে এই বাহিনীর অস্তিত্ব থাকবে না। সুতরাং আমাদের পিছিয়ে থাকার সময় নাই, আমাদের ফিরে আসতেই হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ফেসবুক পুলিশিং, ধানকাটা পুলিশিং, মানবিক পুলিশিং, লোকদেখানো পুলিশিং, শো অব করা পুলিশিং আমি করবো না, কথা দিচ্ছি। পুলিশের যা কাজ, তাই করতে চাই। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আমাকে তুলে ধরার কিছু নেই। আমি এই শহরকে চিনি, এই অঞ্চলে আমার বাড়ি। এখানেই বেড়ে উঠেছি। পুলিশের যে প্রকৃত কাজ তা করতে চাই। এরমধ্য দিয়ে মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে। রাস্তায় চলাচল করতে পারে, নারীরা শপিং করতে পারে, রাস্তায় সন্ধ্যায় হাঁটতে পারে নির্বিঘ্নে এসব নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ।

পুলিশের নবাগত কমিশনার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সংবাদমাধ্যমে যে কথাগুলো মানুষ বলে, এই কথার মাধ্যমে ওপরেও উঠতে পারে আবার নিচেও নামতে পারে। কেননা বলা কথা থেকে মানুষ আর ফিরতে পারে না। তাই সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ আমাকে খোঁচাখুঁচি করবেন না।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটি এসবি প্রধান আবু বক্কর সিদ্দিক, ডিবি প্রধান ইবনে মিনানসহ রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।