সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রীসহ আ.লীগের ১৯৫ জনের নামে হত্যা মামলা

  • ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী/ছবি: সংগৃহীত

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী/ছবি: সংগৃহীত

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও তার স্ত্রী প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়র নায়ার কবির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৯৫ নেতা-কর্মীর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

সোমবার ( ১০ সেপ্টম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ জেলা শহরের নন্দনপুর বিসিক এলাকায় কাউসার আহমেদ হত্যা মামলায় আকরাম হোসেন আদনান নামের এক ব্যক্তি এই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরো ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাদী বাবুল মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের মার্চের ২৬ তারিখ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মোদি বিরোধী আন্দোলন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ মার্চ শনিবার তৌহিদী জনতা ও মাদ্রাসা ছাত্র ও জনতা শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল করে। মোদী বিরোধী একটি মিছিল তালশহর পূর্ব থেকে নন্দনপুর বিসিক এলাকায় গেলে মোকতাদির চৌধূরীর হুকুমে ও ফাহিমা খাতুন ও নায়ার কবিরের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেয়। তাদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জঙ্গি মিছিল নিয়ে দক্ষিণ দিকে যায়। এই জঙ্গি মিছিল থেকে তৌহিদী জনতা ও ছাত্র জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণসহ গুলি চালানো হয়। এ সসময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। জঙ্গি মিছিল থেকে ছোড়া গুলি কাউসার আহমেদ এর নাভির নিচে লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে রাত আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে প্রশাসনের নির্দেশে কাউসারের ময়নাতদন্ত না করেই মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করে।

প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে সে সময় কাউসারের পরিবারের লোকজন সাধারণ ডায়েরি করতেও পারে নাই বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো মোজাফফর হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর টাইপ করা একটি এজাহার আমরা মামলা হিসেবে রুজু করি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।