মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়ক ভাঙনে ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ



তোফায়েল পাপ্পু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মৌলভীবাজার, বার্তা২৪
ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন, ছবি: বার্তা২৪

ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা, জুড়ী, রাজনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। বিগত বন্যায় এসব এলাকার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভাটসহ মানুষের ঘর বাড়িরও বেশ ক্ষতি হয়েছে।

২০১৮ সালের জুন মাসে ভয়াবহ বন্যায় মৌলভীবাজারের নদী মনু পাড়ের অধিকাংশ রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে মৌলভীবাজার-কুলাউড়া মহাসড়কের রাজনগর উপজেলার কদমহাটার রাস্তা বিশাল ভাঙায় পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের ফলে আরও বেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ৭ মাসেও সংস্কার করা হয়নি এই রাস্তাটির।

বন্যা-পরবর্তী দীর্ঘ ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এই রাস্তা সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কের এই বেহাল অবস্থা হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম মৌলভীবাজার-কুলাউড়া মহাসড়ক। বিগত ভয়াবহ বন্যায় এই সড়কটির কিছু জায়গায় অনেক বেশি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থাতেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালের বন্যায় এই সড়কের কদমহাটা থেকে মহলাল পর্যন্ত পৃথক দুই অংশে ব্যাপক ভাঙন হয়। কয়েক দফা ইট ও পাথর দিয়ে রাস্তাটি মোটামোটি চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করে সড়ক ও জনপদ (সওজ)। কিন্তু নিয়মিত বড় বড় গাড়ি চলাচল করায় রাস্তা আবার আগের মতো ভেঙে যায়।

যানবাহন চালক রাসেল মিয়া জানান, রাজনগর থেকে নিয়মিত এই সড়ক দিয়ে আমাকে মৌলভীবাজার যাতায়াত করতে হয়। এই জায়গায় আসার পর গাড়ি গর্তে পড়লে ঠেলে উঠাতে হয়। রোগী ও মহিলা নিয়ে আসা যাওয়া করলে মাঝেমধ্যে অনেক সমস্যায় পড়ি।

কলেজ ছাত্র নাবিল বলেন, নিয়মিত কলেজে আসা যাওয়ার জন্য এই সড়ক আমাদের ব্যবহার করতে হয়। ভাঙা জায়গাটা এতোটাই ভয়ঙ্কর যে আমাদের গাড়ি একদিন উল্টে যায়। সড়কটি মেরামত করলে আমাদের যাওয়া আসার জন্য অনেক ভালো হবে।

তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর মৌলভীবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ সোহেল বলেন। তিনি জানান, এই সড়কের ভাঙা মেরামতের জন্য অনুমোদন হয়েছে।

 

   

'ট্রি অব পিস' ইউনেস্কোর আনুষ্ঠানিক কোনো পদক নয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, Hedva Ser ভাস্কর্য, বাকু, আজারবাইজান

ছবি: সংগৃহীত, Hedva Ser ভাস্কর্য, বাকু, আজারবাইজান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ট্রি অব পিস’ কোনো আনুষ্ঠানিক পদক নয় বলে ইউনেস্কোর সদর দফতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) ইউনেস্কোর সদর দফতরের বহির্বিশ্ব সম্পর্কবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ওহেমেং বোমাহ এক চিঠিতে জানান, ‘ট্রি অব পিস’ ইউনেস্কোর কোনো ‘অফিসিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ (আনুষ্ঠানিক পদক) নয়। এই পদকের ইউনেস্কোর কোনো মর্যাদাও নেই।

তিনি আরো জানান, ‘ট্রি অব পিস’ (Tree of Peace) ইউনেস্কোর ‘গুড উইল অ্যাম্বাসেডর’ হেডভা সের-এর একটি ভাস্কর্য।

চিঠিতে জানানো হয়, আজারবাইজানের বাকু ফোরাম ইউনেস্কোর গুড উইল অ্যাম্বাসেডর হেডভা সের কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ ভাস্কর্য প্রদানের বিষয়ে ইউনেস্কোর সঙ্গে কোনো রকমের পরামর্শ করেনি এবং ওই অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাও ছিল না।

ইউনেস্কোর সদর দফতরের বহির্বিশ্ব সম্পর্কবিষয়ক সহকারী মহপরিচালকের পাঠানো চিঠি 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এ সম্পর্কিত একটি সংবাদ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এর সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ বছরের ৩১ মার্চ ইউনেস্কোর মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠান।

সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সহকারী পরিচালক (জেনারেল) তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রীকে এ তথ্য জানান।

;

আরও ১ বছর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে আরও ১ বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার (২৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

;

‘সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা জনগণের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণ করতে হলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্ভাবন 'আমার গ্রাম, আমার শহর'। তিনি জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, দেশের সব গ্রামে শহুরে সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমান সরকার 'আমার গ্রাম, আমার শহর' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কোভিডসহ যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

বুধবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য আরবান্ রিজিলিয়েন্স ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৭ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়ে গেছে। যা একসময় কল্পনাও করা যেতো না। পল্লী অঞ্চলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ঢাকা শহরে জনসংখ্যাগত সমস্যার সমাধান হবে না। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, ভূ-সংস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই সংকট মোকাবিলায় সবার একসাথে কাজ করতে হবে। এ সম্পর্কিত পারস্পরিক জ্ঞান আদান-প্রদান করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুম পাটোয়ারী (যুগ্ম সচিব) এবং মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে এতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ্ কুক, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারসহ প্রমুখ।

;

হালদা নদীতে মিলল মৃত ডলফিন, বয়সজনিত কারণে মৃত্যু!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মৃত ডলফিন, ছবি: সংগৃহীত

মৃত ডলফিন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ভেসে ওঠা এক মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় সাত ফুট দীর্ঘ ও ৮৮ দশমিক ৮৯ কেজি ওজনের এই ডলফিনটি। গবেষকরা জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে এই ডলফিনের।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা এলাকায় নদীতে ভেসে আসে মৃত ডলফিনটি। এর আগে দেড়বছর হালদা নদীতে মৃত ডলফিন ভেসে ওঠার ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয়রা ডলফিনটি উদ্ধার করে নদীর তীরে তোলেন। পরে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির গবেষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ডলফিনটির সুরতহাল করে মাটি চাপা দেন।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ রয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা ‍শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

গবেষকদের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি, ২০২১ সালে পাঁচটি এবং ২০২২ সালে ছয়টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত হালদা নদীতে ৪১টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর হালদা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।

হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানিয়েছেন ডলফিনটি কয়েকদিন আগে মারা গেছে। তিনি বলেন, ডলফিনটির শরীরে পচন ধরেছে। সুরতহাল করার সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিবেদনে আমরা বয়সজনিত কারণে মৃত্যু উল্লেখ করেছি।

তবে মৃত ডলফিনটির বয়স নির্ধারণ করা যায়নি। অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ছয় থেকে সাত মাস পর ডলফিনটির হাড় সংগ্রহ করার পর পরীক্ষা করা হবে। তখন বয়স বলা যাবে। তবে একটি ডলফিন সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে।

;