পাহাড়ি ঢলে ক্ষত-বিক্ষত কলাতলী-সুগন্ধা বিচ
কক্সবাজারে স্মরণাতীত কালের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বের হওয়ার পথ না পেয়ে ঢল নেমেছে সৈকতে। এতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে কলাতলী ও সুগন্ধা বিচ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে সৈকতের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষত-বিক্ষত সৈকত এলাকা। প্রবেশ পথের সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত। প্রবেশ পথ থেকে বালিয়াড়ি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। যা ছুঁয়েছে সাগরের পানি পর্যন্ত।
স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগের বৃষ্টিতেই ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিলো সৈকত। এবারের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে যার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী কলাতলীর রাস্তা মেরামত করেছে। যে কারণে পর্যটকরা কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে পারছেন।
কলাতলীর শুঁটকি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ঈসা বলেন, শহরের বৃষ্টির পানি কোথাও যেতে না পেরে সৈকতে নেমে যায়। যার কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয় সৈকত এলাকা।যেদিক দিয়ে পানি নেমে গেছে সেদিক যেন সৃষ্টি হয়েছে খাল। যে কারণে সৌন্দর্য হারিয়েছে সৈকত।
পর্যটক আহসান মুরাদ বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘুরতে এসে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখি আগের সৌন্দর্য নেই। পুরো সৈকতজুড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার মাহাবুব আলম বলেন, পাহাড়ি ঢলে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী এবং সুগন্ধা পয়েন্ট ক্ষত তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিচের সৌন্দর্য ফেরাতে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. তানভীর হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সৈকতের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে ভাঙনের বিষয়টি নজরে আসার পর পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে। শিগগিরই ভরাট করে সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে এনে চলাচল উপযোগী করা হবে।