ফেনী পৌরসভায় অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৫ হাজার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে ফেনী পৌরসভা। অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় সকল আসবাবপত্র। পৌরসভায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটের ঘটনায় ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৫০ টাকা সমমূল্যের সামগ্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। ঘটনার ৪০ দিন পর ৫ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন। এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম শাখাওয়াত উল্যাহ চৌধুরী বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ছিল। ওইদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। তার পরপরই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যক্তি লাঠিসোঁটা, কুড়াল, করাত, আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রসহ পৌরসভার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এ সময় পৌরসভা ভবনের সামনে থাকা লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স ও বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ নথি, আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক পাখা, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, ফ্রিজ, এসি, আলমারি, কেবিনেট আগুনে জ্বালিয়ে দেন। 

বিজ্ঞাপন

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।