গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাত বছর বয়সী রাফিয়া নামের এক কন্যা শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইশা বেগম (২২) নামের ওই অভিযুক্ত মাকে আটক করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কম-কে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান।
এর আগে, একইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কোমড়পুর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু রাফিয়া ওই এলাকার রানা মিয়ার মেয়ে। গত তিনমাস পূর্বে শিশু রাফিয়ার মায়ের রানা মিয়ার সাথে তালাক হয়। রাফিমার মা রানা মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছিলেন। মায়ের তালাকের পর থেকে রাফিয়া দাদা-দাদির কাছে থাকতো।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, শিশু রাফিয়ার মা রানা মিয়ার প্রথম স্ত্রী। ইশা বেগম রানার মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। ইশা বেগমেরও তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বুধবার বিকেলের দিকে খেলার সময় তিন বছর বয়সী ওই সৎ বোনের সাথে রাফিয়া মারামারি করে। এর জেরেই সৎ মা ইশা বেগম রাফিয়াকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় পানিতে নিয়ে তার দুই পায়ের মাঝখানে শক্ত করে চুবিয়ে ধরে।
এসময় রোজিনা নামের স্থানীয় এক নারী ঘটনাটি দেখে চিৎকার করলে ইশা বেগম ডোবা থেকে উঠে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশু রাফিয়াকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রাফিয়াকে মৃত বলে নিশ্চিত করেন। স্থানীয়দের খবরে ওই এলাকা থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ইশা বেগমকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরেই অভিযুক্ত সৎ মা ইশা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ আগামীকাল গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা বা স্বজনদের কেউ এজাহার দিলে মামলা করা হবে।