ভেঙে পড়েছে তিন সেতু, ভোগান্তিতে সাত লাখ মানুষ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পশুহাট মোড়ের বেইলি ব্রীজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

পশুহাট মোড়ের বেইলি ব্রীজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে প্রবল পানির চাপে সাতক্ষীরার কলারোয়ার একই দিনে বেত্রাবতী নদীর উপর নির্মিত তিনটি সেতু ভেঙে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) একই দিনের পৃথক সময়ে এঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

এতে কলারোয়া উপজেলা সদর ও পৌর সদরের সাথে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। একই সাথে কলারোয়ার সাথে যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলা, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাথেও আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার ৭ লাখ মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, ২০২৩ সালের আগস্টে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্র পশুহাট মোড়ের বেত্রবতী নদীর উপর পাকা ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এরপর ৮ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মে মাসে আবার কাজ শুরু হলে পুরানো ব্রিজটি ভেঙে ফেলে যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে পাশে লোহার বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়। সেই বিকল্প বেইলি ব্রিজটিই হয়ে পড়ে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। বৃহস্পতিবার সকালে সেই বিকল্প ব্রিজটি পানির তোড়ে ধ্বসে যেয়ে রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, পৌরসদরের তরকারি বা কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার সংলগ্ন কাঠ ও বাঁশ দিয়ে নির্মিত আরেকটি সাঁকো কিছু দিন আগে ভেঙ্গে গেলে সম্প্রতি সেটা যাতায়াতের উপযোগী করা হয়। কিন্তু, বৃহষ্পতিবার সকালে বেত্রবতী নদীর পানির ব্যাপক স্রোতে সেই কাঠের সাঁকোটিও মাঝখান থেকে ভেঙ্গে দু-খন্ড হয়ে গেছে। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সেখান দিয়ে দু'পাড়ের মানুষেন যাতায়াত।

অপরদিকে, পৌরসভাধীন গোপিনাথপুর তারকনন্দী নামক স্থানের আরেকটি কাঠের বড় সেতুটির বিভিন্ন স্থান ও মাঝ বরাবর ভঙ্গুর হয়ে গিয়ে যানবাহন যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এর ফলে কলারোয়া পৌরসভাধীন বেত্রবতী নদীর উপর থাকা ৪ সেতুর ৩টি-ই ভেঙে ও ধ্বসে গেলো। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ, কলারোয়া থানা, স্কুল-কলেজ, কলারোয়া পৌরসভা অফিসসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে আসতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এর ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই সমস্ত এলাকার ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তাই স্থানীয়রা অবিলম্বে ব্রীজটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

কলারোয়া উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, পৌরসভাধীন দুটি সাঁকো বা সেতু দ্রুত সচল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তবে বেইলি ব্রীজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। সেটাও দ্রুত যাতায়াত উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে অবগত করা হয়েছে।