'ফ্যাসিস্ট পদ্ধতিতে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসলে তরুণ সমাজ মানবে না'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনের নীতি অনুযায়ী আবারও যদি কেউ ক্ষমতায় আসতে চায় তাহলে সেটা তরুণ প্রজন্ম মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস আয়োজিত 'শিক্ষাব্যবস্থা ও রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থার মধ্যে নিতে হবে, এখানে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের অবদান আছে। শুরুতেই তাদের সঙ্গে কথা বলার দরকার ছিলো, তাদের আস্থায় আনা দরকার ছিলো।

তরুণদের অধিকার আছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, তাদের যে আকাঙ্ক্ষা, লক্ষ্য এটা যে বিএনপি মেটাতে পারে সেই ভরসা তারা তরুণদের দিতে পারছে না। আমার কথা যদি সত্য হয় তাহলে অবশ্যই দেখবেন আগামী দিনে কোন না কোন রাজনৈতিক দল উঠবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যদি বিএনপি আমাদের রাজনৈতিক অভিপ্রায়কে মেটাতে পারে অবশ্যই তরুণদের আলাদা কোন রাজনৈতিক দল করার দরকার নাই। যদি সেটা না পারে তাহলে তরুণদের নতুন দল অবশ্যই আসবে। ফলে আকতাররা (জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন) একবার দল করবো, দল করবো না এই বিভ্রান্তিতে পরা যাবে না। যদি দল কর‍তে চান, অবশ্যই দল করবেন। কেন দল করবেন সেটা সঠিকভাবে আপনাদের জনগণকে বুঝাতে হবে।

গণঅভ্যুত্থান এখন একটা জায়গায় গিয়ে ঠেকে গিয়েছে মন্তব্য করে এই রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, এই বিজয়ী গণঅভ্যুত্থানকে পূর্নাঙ্গ করার জন্য অবশ্যই তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে হতে পারে। এটাই কিন্তু ইতিহাসের নিয়তি।

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন আর গণপরিষদ নির্বাচন এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ তর্কের বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে ঠিক করতে হবে তারা কি গণপরিষদ নির্বাচন চান? যদি চান তাহলে তাদের লক্ষ্য হবে নতুন বাংলাদেশ গঠন করা। আমাদের এই সরকার যদি সেটা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে সেটা করতে হবে।

বর্তমানের পার্বত্য অঞ্চলের অচলাবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, এটা মিলিটারি সংকট না, এটা রাজনৈতিক সংকট। এখানে তো মিলিটারি বসিয়ে, পাহারা দিয়ে তো এই সংকট নিরসন করা যাবে না। এর মধ্যে বাইরের উস্কানি আছে। আমরা আগুনের মধ্যে আরও জ্বালানি দিচ্ছি। যদি আমরা বলতাম, আমরা গণতান্ত্রিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সমাজের সকলের সঙ্গে কথা বলতে চাইতাম তাহলে আর সমস্যার সৃষ্টি হতো না।