মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন/ছবি: সংগৃহীত

গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন/ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নে আম্বিয়া আক্তার পায়েল কর্তৃক একই গ্রামের ২০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানী মুলক মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার উত্তর নাউরী গ্রামে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধনের আগে একই স্থানে এক সংবাদ সম্মেলন করে গ্রামবাসী।

বিজ্ঞাপন

এ সময় বক্তব্য রাখেন, আক্তার হোসেন, তাইজুদ্দিন আহাম্মেদ সিপন, পান্না আক্তার কল্পনা, নাঈম, পার্থ, বিল্লাল সরকার, জাহাঙ্গীর, আলফাজ উদ্দিন সরকার, বোরহান সরকার, ফেরদৌসী, সিলা আক্তার, পারুল বেগম, রুপালী, মুকুল, আরিফুল ইসলাম, মরিয়ম আক্তার, গনি মিয়াজি প্রমুখ।

বক্তব্যে তারা জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলা বিজ্ঞ আদালতে নাউরী গ্রামের লিটন সরকারের স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার পায়েল বাদী হয়ে আতিকুর রহমান অপু, মিজানুর রহমান, মাসুদুর রহমান টিপু’সহ ২০ জনকে আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য চাঁদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যে মামলাটি হয়েছে এটি একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে আমরা তার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছি। কিন্তু এই ঘটনার সাথে আমাদের কেহই সম্পৃক্ত ছিল না। ঐ দিন রাতে কে বা কাহারা তাদের বাড়ির বিল্ডিং এর জানালা ভাংচুর করেছে, আমরা কিছুই জানিনা। শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য এই মামলাটি করা হয়েছে।

তাই আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন এই মালাটি সঠিক তদন্ত করে। আর যাতে কারো বিরুদ্ধে এরকম হয়রানি ও মিথ্যা মামলা না করে সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা এ মিথ্যা মামলার দ্রুত প্রত্যাহার চাই।

তারা আরো জানায়, এই মহিলা একজন দুশ্চরিত্রা নারী। আগে পড়ে সে বাড়িতে অনেক অনৈতিক কাজকর্মে লিপ্ত ছিল। কিছু বললেই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিনের ভয় দেখিয়ে দিয়ে হয়রানি করত আমাদের এলাকার লোকদেরকে। তার ভয়ে এলাকার লোকজন কথা বলতে পারেনি। এর আগে আরও একাধিক ব্যক্তির নামে পায়েল মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে অনেককে হয়রানি করেছে।

এ বিষয়ে আম্বিয়া আক্তার পায়েলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।