উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাওজমুল হকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।
এর প্রভাবে আগামীকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের।
বিজ্ঞাপন
এতে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে।
আগামী ৫ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।
এর আগে, স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপটির ধীরগতির কারণে উপকূলে বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল বেশ কয়েকদিন। এর মধ্যে বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর আবহাওয়া অধিদপ্তর শিগগিরই আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়েছিল। সংস্থাটি জানিয়েছিল, ২১ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টি বাড়িয়ে দিতে পারে।
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফরের মরদেহ জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় আবু জাফরের ভক্ত, জেলা জামাতের আমির অধ্যাপক আবুল হাসেমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ছাত্র, সহকর্মী, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা পড়ান কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোল্লা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এরপর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
আজ ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু জাফর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় দীঘদিন অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন এই গীতিকার।
চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত বেশিরভাগ গানের সুর ও কণ্ঠ তিনি নিজেই দিয়েছেন। তবে আলোচিত বেশিরভাগ গানেই কণ্ঠ দিয়েছেন আবু জাফরের প্রাক্তন স্ত্রী ফরিদা পারভীন। আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে কোদালের ডান্ডা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো: নুরুল হক বাবুল (৬০) উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের লেদির বাড়ের বাড়ির মৃত আনোয়ার উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
নিহতের ছেলে নুরুল আমিন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ বছর আমাদের বাড়ির সামনের ৩৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী মু্ন্নার সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। কিছু দিন সামাজিক ভাবে সালিশি বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়। ওই সালিশে ৩৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমাদেরকে ১০ শতাংশ জায়গা দেওয়া হয়। বাকী ২৩ শতাংশ জায়গা মুন্নাকে দেওয়া হয়। এখন মুন্না বলে তিনি সালিশি বৈঠকের সিন্ধান্ত মানেন না।
এরপর শুক্রবার বিকেলে মুন্না আমাদের সামেনর অংশের জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। খবর পেয়ে বাবা আর আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাকে আটকে রেখে মুন্না, রাব্বি, রনি, নজরুল, জাহাঙ্গীর, নুরুল হুদা আমার বাবার সাথে হাতাহাতি শুরু করে। একপর্যায়ে কোদালের (ডান্ডা) লাঠি দিয়ে বাবার কাঁধে আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌমুহনী প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বেগমঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিটন দেওয়ান বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের কোনো চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। লিখিত অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পারিবারিক যৌথ পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার কিল ঘুষির আঘাতে চাচা আবুল কালাম (৬০) নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আবুল কালাম উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক যৌথ পুকুর নিয়ে অনেক আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার বিকালে ওই পুকুরে মাছ ধরছিল চাচা আবুল কালাম। এ সময় ভাতিজা লিটন তার চাচাকে মাছ ধরতে বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজা লিটন মিয়া তার চাচাকে কিল ঘুষি মারে। পরে স্থানীয়রা ঝগড়া থামায়। পরে চাচা ঘরে চলে গেলে ভাতিজা ঘরের ভিতরে গিয়ে তাকে আবারও কিল ঘুষি শুরু করে। কিল ঘুষির আঘাতে একপর্যায়ে চাচা আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশ নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করে।
নিহতের স্ত্রী জোসনা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারী লিটনসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভাতিজার কিল ঘুষিতে চাচা আবুল কালাম মারা গেছেন। নিহতের লাশ সন্ধ্যার দিকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর যানজট নিরসন করে দ্রতগতির যান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মেট্রোরেল। যানজটের শহর ঢাকায় মানুষের চলার গতি বৃদ্ধিতে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখা মেট্রোরেল আরও কয়েকটি রুটে চালুর তোড়জোড়ও চলছে বেশ। মেট্রোরেলকে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রসারণের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে রাজধানীর মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ।
তবে এই অংশের কাজে দেখা দিয়েছে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা। এই প্রতিবন্ধকতা কেটে গেলেই দ্রুত গতিতে এই অংশের কাজ শেষ করে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল অংশে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর ঠিক মতিঝিল মোড়ের উপরেই অবস্থিত মেট্রোরেল লাইন ৬ প্রকল্পের ৬৩২ নাম্বার পিলার। মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনটি গিয়ে শেষ হয়েছে ৬২৬ নাম্বার পিলার। অর্থাৎ মেট্রোস্টেশন থেকে মতিঝিল মোড়ে অবস্থিত পিলারটির দূরত্ব ৬টি পিলারের। এর মধ্যে স্প্যান বসানো হয়েছে ৬৩১ নাম্বার পিলার পর্যন্ত। আর মাত্র একটি পিলার পর্যন্ত স্প্যান বসানো হলেই মতিঝিল মোড় পর্যন্ত দৃশ্যমান হবে মেট্রোরেল চলাচলের লাইন।
এদিকে, মেট্রোরেলের লাইনের কাজের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি লাইনের ঠিক নিচের অংশে রেখে দেয়ার চিত্রও দেখা গেছে। এছাড়া মেট্রোরেলের ৬২৮ নম্বর পিলারের সাথে একটি ওঠা নামার সিঁড়িও দেখা গেছে। এছাড়া উপরে নবনির্মিত লাইনের উপর একটি ক্রেন যা ভারী যন্ত্রাংশ উঠানো-নামানোর জন্য এবং নিচে একটি স্কেভেটর মেশিনও দেখা গেছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশ আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার প্লান আছে। এই লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে। আমাদের কাজগুলো যথারীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সিভিল ওয়ার্কগুলো ভালোভাবে আগাচ্ছে। আমাদের ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল কাজে কিছু চ্যলেঞ্জ আছে। ভায়াডাক্টের উপর যে ট্রাকগুলো তার ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালিং যে বিষয়গুলো আছে সেখানে আমোদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে।
চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিকল্প কোন ধরনের চিন্তা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এটা তো এক্সটেন্ডেন্ট ওয়ার্ক যারা আগের কাজগুলো করেছে তারাই করছে। এই কাজের জন্য আমরা ঠিকাদার নিয়েগের কাজগুলো এখনও ফাইনাল করতে পারি নাই। এটা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটা যতদ্রুত করতে পারবো তাহলে আমাদের ডিসেম্বরে এই রুট চালুর কাজটি ততোটাই সহজ হবে। এখানেই আমাদের একটু চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া এই বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
পরে প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া এর কাছ থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তবে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া কাছে এই অংশের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি ওয়েবসাইট থেকে দেখে নেন কথা বলে ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।