‘পলাতক’ চেয়ারম্যানকে আর চান না ৯ ইউপি সদস্য

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চেয়ারম্যানকে আর চান না ৯ ইউপি সদস্য/ছবি: সংগৃহীত

চেয়ারম্যানকে আর চান না ৯ ইউপি সদস্য/ছবি: সংগৃহীত

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আত্মগোপন থাকা চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ কাইয়ুম শাহ’র ওপর অনাস্থা জানিয়েছেন পরিষদের ৯ সদস্য। একই সঙ্গে তাঁরা বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলামকেও আর পরিষদে দেখতে চান না। তাঁদের অভিযোগ-চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান দুজনেই অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম নামের কাছে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিষয়ে অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করেছেন বারশত ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইছমাইল। আবেদনে আরও ৮ ইউপি সদস্যের সই ছিল।

বিজ্ঞাপন

লিখিত আবেদনে মো. ইছমাইল উল্লেখ করেন, ৯ সেপ্টেম্বর বারশত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মতে ২ নম্বর বারশত ইউনিয়ন পরিষদ আনোয়ারা, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুম শাহ ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাব গৃহীত হয়। তিনি ইউপি পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন সভা আহ্বান করেননি। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের কথা অগ্রাহ্য করে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে হোল্ডিং নাম্বার প্রদান করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান যৌথভাবে এলজি, এসপি-৩, ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা, টি.আর, খাবিখা, খাবিটা, অতি দরিদ্র কর্ম সংস্থান কর্মসূচি, এডিপি বরাদ্দসহ সরকার আরও অনেক বরাদ্দ প্রদান করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের কোনো কিছু না জানিয়ে কোন প্রকার সভার আহবান না করে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান পরস্পর যোগসাজশে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও বিচার প্রার্থী সাধারণ জনগণের কাছ থেকে সালিশ বাণিজ্য, ওয়ারিশ সনদ, জন্ম নিবন্ধনের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমরা চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবসহ তাদের অনিয়মের বিচার চাই।’

অনাস্থা দেওয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা হলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জমির হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এম এ কাইয়ূম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইব্রাহীম খলিল, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল চৌধুরী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইছমাইল, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল উদ্দিন এবং সংরক্ষিত ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বিলকিস আখতার।

বারশত ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইছমাইল বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে আসেনি। আমরা চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। পাশাপাশি প্যানেল চেয়ারম্যানকেও আমরা চাই না। চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি।’

তবে অভিযোগের বিষয়ে বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ কাইয়ুম শাহ এবং প্যানেল মেয়র তৌহিদুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।