ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন বিল নথিগুলোর বিল প্রদানের আগে ডিএনসিসির নিরীক্ষা বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় নিরীক্ষা কার্য সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করে এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
অফিস আদেশে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, সরকারি অডিট দল কর্তৃক অডিট আপত্তির পরিমাণ কমানো, কাজের স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিল নথিগুলর বিল প্রদানের আগে ডিএনসিসির নিরীক্ষা বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা করে নিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলা, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী উঠানামাসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট দীর্ঘদিনের যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। যানজট নিরসন ঘটিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র সবগুলো ট্রাফিক বিভাগ।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই ধারাবাহিকতায় যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ।
এরই মধ্যে একদিনে ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৮৭০টি মামলা ও ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৬৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৬০টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। জরিমানাকৃত টাকার মধ্যে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের নিকট থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮ লাখ ৬২ হজার ৫০০ টাকা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাত-দিন কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। গতকাল রোববার (২২সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৮৭০টি মামলা ও ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৬৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৬০ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। জরিমানাকৃত টাকার মধ্যে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের নিকট থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮ লাখ ৬২ হজার ৫০০ টাকা।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিষধর সাপের কামড়ে আফজাল হোসেন (২২) নামে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামের রমিজ ব্যাপারীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে৷
নিহত আফজাল হোসেন (২২) উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামের মো. মিলন মিয়ার বড় ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে সন্ধ্যার পর আফজাল হোসেন কাজীর বাজারে বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পাশের টিউবওয়েলে পানি পান করার সময় সেখানে একটি সাপে কামড় দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক টের না পেলেও পরে বিষক্রিয়া বাড়তে থাকে। পরে কবিরাজের মাধ্যমে বাড়িতে ঝাড়ফুঁক করতে থাকেন। রাত ২টার দিকে বিষক্রিয়া বেড়ে গেলে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তা২৪.কম'কে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাপের কামড়ে আফজাল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজধানীর পুরান ঢাকায় নটর ডেম কলেজের অফিস সহকারী লিপিকা গোমেজ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আসামিদের বরাত দিয়ে সংস্থাটি বলছে, পূর্বপরিচিত জুয়েল রানার (২১) ধারণা ছিলো লিপিকার বাসায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ রয়েছে। সেগুলো লুট করতেই ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে জুয়েল ও তার বন্ধু নজরুল (২২)। তাদের চিনে ফেলার ভয়ে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে লিপিকাকে হত্যা করা হয়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পশ্চিমাঞ্চলের ডিআইজি সায়েদুর রহমান।
এর আগে,ববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সদরঘাট ও পুরান ঢাকা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিআইজি সায়েদুর রহমান বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থানার ৭৫ নং ঋষিকেশ দাস রোডের একটি বাসা থেকে ঢাকা নটর ডেম কলেজের অফিস সহকারী লিপিকা গোমেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেশে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত লিপিকা গোমেজ ১৮ বছর ধরে একাই বসবাস করতেন। তার কোন সন্তানাদি ছিল না। গত ১০ সেপ্টেম্বর লিপিকা গোমেজ অফিস করেন। পরের দিন কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও সন্ধানে কলেজের দুই স্টাফ জনি ও জয়দেবকে তার বাসায় পাঠান। জনি ও জয়দেব লিপিকা গোমেজের বাসার কেয়ারটেকার মিতুকে নিয়ে লিপিকা গোমেজের বাসায় প্রবেশ করে খাটের ওপরে তার মৃতদেহ দেখতে পান। পরে তথ্য পেয়ে মামাতো ভাই প্রিন্স গোমেজ এসে পুলিশকে খবর দিলে সূত্রাপুর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়। তার মাথার বাম পাশে ভোতা অস্ত্রের আঘাত (কাটা দাগ) ও বিছানায়, বালিশে জমাট বাঁধা রক্ত দেখা যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের মামাতো ভাই প্রিন্স গোমেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানার মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্তের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জুয়েল রানা ও নজরুলকে আটক করা হয়।
পিবিআইয়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয় এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি নোজ প্লাস, দুটি স্কু ড্রাইভার এবং চুরি যাওয়া বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, লিপিকা গোমেজ হত্যা ও তার বাসায় প্রবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে নটরডেম কলেজের একাধিক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া যায়নি। তারপরও আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমি সংলগ্ন বেড়িবাঁধে নাসির বিশ্বাস (২৯) ও মুন্না (২২) নামে দুইজনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মিরাজ মোল্লা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই সুমন বিশ্বাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর থানায় রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় রোববারই মিরাজ মোল্লাকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতার মিরাজ মোল্লা এলাকার এলেক্স ইমন গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপ মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মিরাজের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি আগের একটি মামলা রয়েছে।
নাসির হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটন করতে ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।