কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ার মিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রাব্বানীসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিরপুর উপজেলা শহরের ঈগল চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে মিরপুর উপজেলা শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুরের দিকে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রাব্বানী তার অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে মিরপুর উপজেলা শহরের ঈগল চত্বরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হকের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রাব্বানীসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।

আহত মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রাব্বানীর ভাতিজা রাসেল হোসেন জানান, মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হকের অনুসারী উপজেলা বিএনপি নেতা টিপু সুলতানের লোকজন আমার চাচা ও তার লোকজনদের ওপর ধারালো অস্ত্র-লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার চাচাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা টিপু সুলতান জানান, তাদের কোনো লোকজন বা নেতাকর্মী ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। রাব্বানী ও তার লোকজন স্থানীয় সার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবি করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তবে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হকের দাবির সঙ্গে তিনি বা তারা কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, সারের ট্রাকে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।