রোহিঙ্গা সংকট: আসিয়ানের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশকে তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘের সদরদফতরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে একা এই বিশাল দায়িত্ব কাঁধে চাপিয়ে দিতে পারে না।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এ. এ. খান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর মহাপরিচালক এমি পোপ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সেখানে বক্তব্য রাখেন।

উজরা জেয়া বলেন, একটি নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও. টেকসই প্রত্যাবাসন সম্ভব না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতির জন্য আমি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশকে মানবিকভাবে সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

রোহিঙ্গা এবং যেসব এলাকায় তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেই এলাকার মানুষের জন্য অতিরিক্ত ১৯৯ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার ঘোষণাও দেন উজরা জেয়া।

উজরা জেয়া বলেন, আগামী দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা এবং শরণার্থী ক্যাম্প এলাকার স্থানীয় জনগণের উন্নতির লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, অর্থায়নের অনিশ্চয়তা এবং রোহিঙ্গাদের কাজের ওপর বিধিনিষেধ একটি চ্যালেঞ্জিং বাস্তবতা তৈরি করেছে। যেখানে শরণার্থীরা শুধু বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। তাদেরকে মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল রাখা শুধুমাত্র তাদের সম্ভাবনাকে দমিয়ে রাখে না বরং এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যেখানে নির্মম সশস্ত্র গ্যাংরা সবচেয়ে অরক্ষিতদের শিকার করে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্কুলে যাওয়ার অধিকার এবং চাকরি নিশ্চিত করা টেকসই সমাধানের বিকাশের চাবিকাঠি।

তিনি মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে এনে রোহিঙ্গাদের সেখানে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এবং রোহিঙ্গাদেরকে তার নিজ দেশে স্বাগত জানানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।