নতুন যাত্রা সফলে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস
জাতীয়
সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া তারা করতে চান না।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে সংস্কার করা। আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সবার সমর্থন প্রয়োজন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
বিজ্ঞাপন
সংবর্ধনা আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আলোকচিত্রী, লেখক, কিউরেটর ও অ্যাক্টিভিস্ট শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না।
সংস্কারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পর নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে ছাত্ররা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর। এটা বাংলাদেশের তরুণরাই নিয়ে এসেছে।
এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়া এবং সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানায় জাতিসংঘ।
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আমার শুভেচ্ছা জানাই সাধারণ পরিষদে যোগদানের জন্য। এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘে তার ৫০ বছরের সম্পর্ক উদযাপন করছে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে থামছে না অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের কিছু সাংবাদিকদেরকে ম্যানেজ করে দেদারসে চলছে অবৈধ এই ড্রেজারের রমরমা ব্যবসা।
উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার একাদিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাঞ্চনপুর মৌজায় এখন যে ড্রেজার চলছে কয়েকদিন আগে তা গোপীনাথপুর উজানপাড়া এলাকায় ছিলো। এলাকার লোকজন সম্মিলিতভাবে বাধা দেওয়ায় একটি ড্রেজার পশ্চিমে সরে গেছে। তবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েক'শ বলগেট বোঝাই করে বালু উত্তোলন করে দেওয়া হয়।
এলাকার কেউ বাঁধা দিতে গেলে প্রসাশনের অনুমতি আছে বলে জানান ড্রেজার ব্যবসার ছত্রছায়ায় থাকা যুবকেরা। এছাড়া কেউ বাধা দিতে গেলে মারধর ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির হুমকি দেয় তারা। যে কারণে নদীপাড়ের মানুষ নিরুপায় বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।
নদীপাড়ের এক জেলে বলেন, পদ্মায় প্রচণ্ড ভাঙন চলছে গেলো কয়েক বছর ধরে। আমাদের সকলের কৃষি জমি এখন পদ্মার পেটে। অনেকেই বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে নিঃস্ব হয়ে গেছে। সরকার পদ্মা ভাঙ্গন রোধে নানান ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তবুও থামছে না পদ্মার ভাঙন। এর মধ্যে আবার ড্রেজার দিয়ে পদ্মায় বালু উত্তোলন চলছে ধুমছে। এতে করে এবারের বর্ষায় নদী ভাঙন আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
গোপীনাথপুর ইউনিয়নের এক জনপ্রতিনিধি বলেন, পদ্মা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে শুধুমাত্র প্রশাসন ইচ্ছে করলেই পারবে। বালু উত্তোলনকারীরা অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে স্থানীয়রা পেরে উঠার সুযোগ নেই। সব দপ্তর ঠিকঠাক করেই তারা বালু ব্যবসা করে। পদ্মা থেকে বালু উত্তোলন দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ না করা হলে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দাদের জন-জীবন অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে।
রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গৌরবিদ্যার মাথার পদ্মা নদী অংশে দুটি ড্রেজার চলমান দেখা যায় সরেজমিনে। তারই একটু দক্ষিণে আরও দুইটি ড্রেজার চলছে বলে জানান স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গোপীনাথপুর মধ্যপাড়া এলাকার মামুন মোল্লা নামের এক ব্যক্তি এই ড্রেজার দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে।
পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই ড্রেজারের শ্রমিক মাত্র। ড্রেজারের বিষয়ে সার্বিক বলতে পারবেন রিপন গাজী। এসব বিষয়ে জানতে রিপন গাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার মামা শিবালয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আকবর এই ড্রেজারের মালিক। তিনিই সব বলতে পারবেন।
এরপর আলী আকবরের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপ হলে তিনি বলেন, হরিরামপুর উপজেলার বালু মহাল তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন। বালু মহালের এলাকার বাইরে কাঞ্চনপুরে ড্রেজার চলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে বালু মহালের সীমানার বাইরে ড্রেজার চলার বিষয়টি সত্য। তবে এসব বিষয়ে নিউজ না করার অনুরোধ করেন। তার ছোট ভাই আকিব ফোন দিলে কথা বলার অনুরোধ জানিয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।
আকিব হোসেন বলেন, প্রশাসন-সাংবাদিক সবাইকে ম্যানেজ করেই ড্রেজার চলছে। এটা নিয়ে নিউজ করলে প্রবলেম হয়। তাই নিউজ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা ও মানিকগঞ্জ জজ কোটর্রে আইনজীবী নাসির উদ্দিন বলেন, এলাকার মানুষের মঙ্গলের জন্য পদ্মা নদীর পাড় থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে ড্রেজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে নিষেধ করেছিলাম। এর জের ধরে ড্রেজার ব্যবসায় জড়িত কিছু লোকজন আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমিসহ আমার এলাকার হাজারো মানুষের দাবি ড্রেজার সরিয়ে পদ্মায়পাড়ের মানুষ জন-জীবন রক্ষা করুন। পদ্মার ভাঙ্গন রোধ ছাড়া আর কোন চাওয়া নেই বলে জানান এই আইনজীবী।
ড্রেজারের সাবির্ক বিষয়ে জানতে চাইলে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহরিয়ার রহমান বলেন, উপজেলার বালু মহালের বাইরের এলাকায় ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। তারপরও অনেকেই প্রায়ই ইজারার নাম করে বালু উত্তোলন করে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। ফের এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চসিকের অধীনে পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে চসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির সাথে আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের টাকায় এবং জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৩ সালেও চসিকের নিজস্ব ৪৭ কোটি টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূমি কেনা হয়েছে। তাই প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি, চট্টগ্রামের জনগণের সম্পত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের সুন্দর শিক্ষাজীবন নিশ্চিতে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে পরিচালিত হবে।
'কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দখল করা হয়েছে। এজন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে দখলমুক্ত করতে আইনের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি, ইউজিসির চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করেছি, আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি। আইনি প্রক্রিয়াতেই প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণে ফিরবে। ভবিষ্যতে কোন মেয়র বা প্রভাবশালী যাতে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে জবরদখল না করতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হবে। আমরা চাই প্রথমে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত করে এরপর পর্যায়ক্রমে সংস্কারের কাজ পরিচালনা করবো।'
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ইউনিভার্সিটির মূল যে তিনজন ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর পদত্যাগ করেছে, একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। যেহেতু এটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে অবস্থিত এবং এর প্রপার্টিগুলো যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে এবং আমাদের মাননীয় মেয়র মহোদয় এখানে একজন জনপ্রতিনিধি আরেকটা বিষয় হচ্ছে এখানে ছাত্রদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, এটা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে সেই প্রেক্ষাপটগুলো বিবেচনা করে আমরা আজকের সভা আহ্বান করেছি।
'প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তৎকালীন মেয়র এটার দায়িত্বে ছিলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং এটার যে সম্পত্তি ক্রয় থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাপনা কিন্তু সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক করা হয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করেছে। এরপরে যাই হোক এটা দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়েছে। এটা অন্য একটি কর্তৃপক্ষ এটা জোর করে দখল করে নিয়েছিল। আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে সরকার বরাবর আবেদন জানিয়েছি এবং মাননীয় মেয়র মহোদয় এই বিষয়টা অবহিত আছেন এবং তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ইতিমধ্যে এটি ট্রান্সমিট করেছেন এবং এটা শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার হয়তো সপ্তাহ দুই সপ্তাহ লাগতে পারে এই প্রপার্টিটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আবার ফেরত আসছে।'
সভায় চসিকের আইন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মুরাদ বলেন, আমি যে লিগাল ডকুমেন্টগুলা দেখলাম। আইন বলছে ইউনিভার্সিটি একটা ট্রাস্টের অধীনে চলবে। কিন্তু আইনে তা থাকলেও বেসিক্যালি একটা অথরিটিতে এটা থাকে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি নিয়ে হাইকোর্টে দুইটা মামলা হয়েছে সেগুলা হয়েছে মূলত ইউজিস ‘র বিভিন্ন চিঠি চ্যালেঞ্জ করে। মালিকানার বিষয়ে কোন মামলা কিন্তু হাইকোর্টে হয়নি। এটা আরো গ্রেটার অথরিটির বিষয়। একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পরে ইনিশিয়াল যে পাঁচ কোটি টাকা লগ্নি করতে হয়, জমি দিতে হয় সবকিছুই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দিয়েছে। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিতো আমরা কিনেছি। ৫০ লাখ টাকার প্রথম এফডিআরটাও আমাদের। ফেস বাই ফেস আমাদের কাছে সেগুলোর নোটিং আছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে আমরা যেটা দেখছি নর্দমার উপরে একটা বিল্ডিং, তারপর সিএনজি ফিল্ডিং স্টেশনের উপর ক্যাম্পাস। সিএনজি ফিল্ডিং স্টেশন নিজেই একটা বিপদজনক জায়গা এর উপরে একটা বিল্ডিং করে ক্যাম্পাস পরিচালনা করা হচ্ছে। মেয়র মহোদয়ের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা এমন একটা সিস্টেম করে দিবেন যেন ভবিষ্যতে কেউ যেন এটাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করতে না পারে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী মো. আবদুল মান্নান বলেন, অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩ এর সাত নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস থেকে সেফটি প্ল্যান এপ্রুভাল করাতে হয়। যেহেতু
সভায় উপস্থিত কমিটির সদস্যবৃন্দ সর্বসম্মতভাবে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে পরিচালনার প্রস্তাব সমর্থন করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রু মারমা, ডিসি (ট্রাফিক-উত্তর) জয়নুল আবেদীন, ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বিষ্ঞু কুমার সরকার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) মাহমুদুল হোসেন খান, বিটিসিএলের মূখ্য মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ দাশ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ আশিফ ইমরোজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস. এম. এন, জামিউল হিকমা, সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মদ মঈনুদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা মোঃ আতাউর রহমান, উপ পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, চট্টগ্রাম মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনসহ নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, নতুন করে বইয়ের টেন্ডার ও সংস্কারের কারণে বিগত বছরগুলোর মতো আসছে ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। তবে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় জানান, একটি দেশকে বই ছাপানোর জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল, তবে তা বাতিল করা হয়েছে। নতুন বইয়ে বেশ কিছু সংস্কার ও সংযোজন করা হচ্ছে। যে কারণে বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। নতুন বইয়ে গণঅভ্যুত্থানের নানা চিত্র তুলে ধরা হবে।
প্রাথমিক ও শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এ ছাড়া উপবৃত্তিসহ প্রাথমিক শিক্ষার অন্যান্য সমস্যাগুলোও পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে-মিল এর আওতায় আসবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের একশত ৫০টি উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে এটি চালু হবে।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ। কিন্তু ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাজেটের ছয় শতাংশ হওয়া উচিত। শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানো এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে নিয়োগ পেতে আর্থিক অনিয়মে না জড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে সতর্ক করেছে পুলিশ সদর দফতর।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে নিয়োগ চলছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধু মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হচ্ছে। সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পেতে কারো প্রলোভনে পড়ে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অন্য কোনো অনিয়মে জড়িয়ে প্রতারিত না হতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কেউ আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ধরনের প্রতারকদের সন্ধান পেলে নিকটস্থ থানায় বা পুলিশ সুপারের অফিসে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।