কুমারখালীতে পুকুর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর সিদ্রাতুল মুনতাহা নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর সরদারপাড়ার হাকিম সরদারের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সিদ্রাতুল মুনতাহা একই এলাকার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
শিশুটির চাচা মিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশপাশের পুকুর, প্রতিবেশী ও স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই থানায় জিডি করা হয়। এরপর আজ বুধবার সকালে এক কবিরাজের কাছে গিয়েছিলেন শিশুটির বাবা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কবিরাজের দেখানো পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী চাচা আতিয়ার রহমান ( ৪১) বলেন, ‘ওই জায়গায় রাতেও অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়েছিল। পাওয়া যায়নি। তবে দুপুরে শিশুর বাবা প্রথমে বুক সমান পানিতে নেমে ওযু করেন। তারপর পানিতে দুধ ঢালেন, লবণ দেন। একটা ডাব ডুবিয়ে দেন। এরপর ডাবও ভেসে উঠে, মরদেহও ভেসে উঠলো।’
বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমার মেয়েকে পাইনি। পরে কবিরাজের দেখানো পুকুর থেকে এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ পেয়েছি। ওই পুকুরে জলপরী আছে। হয়তো আমি জলপরীর কোনো ক্ষতি করেছি। সেজন্য আমার মেয়েকে জলপরীই মেরেছে। আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মু. আহসানুল মিজান রুমী বলেন, স্বজনদের দাবি অযৌক্তিক ও বিজ্ঞান সম্মত নয়। ময়নাতদন্ত করলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। আর বুধবার দুপুরে পুকুর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে সুরহাল করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত হবে কি না সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।