নার্সিং রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সরবারহ বন্ধের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারী কাউন্সিল হতে সকল বৈষম্য দূরীকরণ এবং বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারী কাউন্সিল বিনা নোটিশে নার্সিং রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সরবারহ বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে সোনার বাংলা নার্সেস এসোসিয়েশন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) বিভাগ (৩ বছর মেয়াদী) থেকে পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। ২০০৫ সালে তৎকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং)সহ মোট ৭টি হেল্থ টেকনোলজী কোর্স চালু করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের রদবদল হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আন্ত মন্ত্রণালয় জটিলতার সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাশকৃত ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) সহ মোট ৭টি হেল্থ টেকনোলজী পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি ও বেসরকারি চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাশ করার পরে বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারী কাউন্সিলের অধীনে একটি কমপ্রিহেন্সিভ পরীক্ষার মাধ্যমে পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) গ্রহণ করতে হয়। যা সরকারি ও বেসরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত অপরিহার্য।

সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী কমপ্রিহেন্সিভ পরীক্ষার মাধ্যমে পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) প্রদান করতে হবে। সেই সাথে অবৈধভাবে আমাদের ওপর ৬ মাসের প্রশিক্ষণ চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এই কোর্স চালাবেনা মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী এক ও অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হই। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এত কিছুর পরেও আমাদের পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) দেওয়া নিয়ে শুরু হয় তালবাহানা। ছাত্র-ছাত্রীরা আবারো আন্দোলন শুরু করলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৩/৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার/ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজী কোর্সকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারী কোর্সর সাথে সমতুল্য করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তার পরেও বৈষম্যে ভরপুর আলাদা ভাবে একটি পোর্টাল তৈরি করে অনলাইন পেশাগত সনদ প্রদান করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে আমরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ি, পরে সচিব স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষে আমাদের ১০ জনকে এক ও অভিন্ন পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) প্রদান করা হয়। এরপর আবারও বন্ধ থাকে এই কার্যক্রম।

সভাপতি মো. আলমগীর রানা বলেন, আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে কোনো রকম বঞ্চিত করা হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিসহ আমরণ অনশনে যাবো। নার্সিং কাউন্সিল হতে অনতিবিলম্বে এক ও অভিন্ন রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদানের কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।