নোয়াখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট লুৎফুর রহমানের ৩য় ছেলে ছেলে দৈনিক অবজারবার এর কোর্ট রিপোর্টার এবং ঢাকা হাই কোর্টের আইনজীবী আহসান হাবিব (৫৫) মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ভাই ও তিন বোন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আহসান হাবিবের বড় ভাই সাংবাদিক সামছুল হাসান মিরন জানান, শনিবার সকালে তিনি জেলা শহর মাইজদীর ফরিকপুর মহল্লার নিজ বাড়ীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা আড়াইটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় মারা যান।

শনিবার বাদ এশা ফকিরপুর মহল্লায় প্রথম জানাযা এবং সদর উপজেলার কালিতারা এলাকায় রাত সাড়ে ৯টায় ২য় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংবাদিক ইকবাল ছোবহান চৌধুরী, নোয়াখালী প্রেস ক্লাব সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু সহ নোয়াখালী প্রেস ক্লাব সাংবাদিকরা গভীর শোক জানিয়েছেন।

ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি ফ্ল্যাটের বন্ধ কক্ষ থেকে বাবা ও ৪ মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ধারণা করা হচ্ছে, ৪ মেয়েকে হত্যার পর বাবা নিজে আত্মহত্যা করেছেন। ঘরে বিষাক্ত তরলের গ্লাস ও চামচ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, শুক্রবার দিল্লির একটি ভবনের মালিকের কাছ থেকে ফোনকল পায় পুলিশ। ভবনের মালিক জানান, একটি ফ্ল্যাট থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

এরপর পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মাধ্যমে ফ্ল্যাটের বন্ধ কক্ষের দরজা ভেঙে দেখতে পায় একটি কক্ষে বাবার মরদেহ ও অন্য একটি কক্ষে অন্য ৪ মেয়ের মরদেহ পড়ে রয়েছে।

এসময় ঘরে ৫টি গ্লাসে ও একট চামচে বিষাক্ত তরল দেখতে পাওয়া যায়।

এবিষয়ে প্রতিবেশীরা জানান, ২৪ সেপ্টেম্বরের পর এই পরিবারের কাউকে আর প্রকাশ্যে দেখতে পাননি এবং কেউ ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেও দেখেননি।

পুলিশ জানায়, ওই ফ্ল্যাটে হীরালাল শর্মা (৪৬) নামে একজন কাঠমিস্ত্রি থাকতেন। তার স্ত্রী ১ বছর আগে ক্যান্সারে ভুগে মারা যান। তারপর থেকে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়েদের সহযোগিতায় তিনি ডাক্তার দেখাতেন।

তার ৪ মেয়ে। বড় মেয়ের নাম নীতু (২৬), দ্বিতীয় মেয়ের নাম নিক্কি (২৪), তৃতীয় মেয়ের নাম নীরু (২৩) এবং ছোট মেয়ের নাম নিধি (২০)। এর মধ্যে ২ মেয়ে আবার শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।

তবে কী কারণে ৪ মেয়েকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছেন, তা জানা যায়নি।

গেল ১৮ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রধান ও আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন এবং বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।

কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণ এবং ভবিষ্যতে একই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি হামলার ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান বাস্তবতায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান ও অংশগ্রহণে তদন্তের দাবি জানান ইউপিডিএফ’র সহ-সভাপতি নূতন কুমার চাকমা।

প্রসঙ্গত, গেল ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে গণপিটুনিতে মো. মামুন নামে একজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরের দিন দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলের একপর্যায়ে দীঘিনালার লারমা স্কয়ার বাজারে পাহাড়ী বাঙ্গালী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জেরে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অভিযানে সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে অর্ধকোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮সেপ্টেম্বর) সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিওপি কর্তৃক সিলেট এবং সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৮৭০ কেজি ভারতীয় চিনি, ১ হাজার ৭১ পিস ক্রিম, ৮টি গরু, ১২০ কেজি চা-পাতা, মোটরসাইকেল, ডেরোবিন ক্রিম এবং ৪০৫ কেজি বাংলাদেশী শিং মাছ ও অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী বারকি নৌকা আটক করে। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৪২০ টাকা।

এবিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.হাফিজুর রহমান, পিএসসি বলেন, ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন আটককৃত চোরাচালানী মালামাল স্থানীয় কাস্টমস এ জমা করা হবে।