এই রায়ে সারাদেশের মানুষ খুশি, মেয়র ঘোষণার পর ডা. শাহাদাত

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন

বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে ঘোষণা করেছেন আদালত। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, এই রায়ে শুধু আমি নই, সারাদেশের মানুষ খুশি। সারাদেশের যেসব মানুষ অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের মামলা, হামলা, খুন, গুমের শিকার হয়েছেন তারা আজ আমার এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে খুশি।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর)) দুপুরে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত রায় ঘোষণার পর এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আজকের এই রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মনে করি, এই ধারায় গত ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বাংলাদেশের অসংখ্য মজলুম নেতার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সব নির্বাহী আদেশে প্রত্যাহার করতে হবে। কেননা এসব মামলা অবৈধ ও ভুয়া।

আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট ঘোষণা করে ডা. শাহাদাতকে দায়িত্ব দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এই রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ১০ দিনের মধ্যে মেয়রের চেয়ারে বসার সুযোগ করে দেবার আহ্বান জানান ডা. শাহাদাত।

এর আগে, তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে প্রার্থী হওয়া ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন আদালত। নির্বাচন বাতিল চেয়ে এই প্রার্থীর করা মামলায় এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট ঘোষণার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর)) দুপুর ১২টায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এই রায় দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে। তখন রেজাউল তিন লাখেরও বেশি ব্যবধানে ডা. শাহাদাতকে হারিয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। পরে নির্বাচন বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে তা রেজাউলের মেয়র পদে বসায় বাঁধা হতে পারেনি। তিন বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে আড়ালে চলে যান রেজাউল। পরে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যেই এই চাঞ্চল্যকর রায় এল।

মামলার এজাহারে ডা. শাহাদাত নির্বাচনে অবিশ্বাস্য কারচুপির অভিযোগ এনে বেশ কয়েকটি তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেন। তিনি করপোরেশন নির্বাচনের পুনঃতফসিল ও পুনঃনির্বাচন দাবি করেন। মামলায় তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা ও চসিকের তখনকার মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল।