বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি রোমান মিয়াকে যৌথবাহিনী আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তাকে ছেড়ে দেয়ার এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে বাদি ভুলক্রমে তাকে আসামি করেছে বলে জানানোর কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে আশুগঞ্জ থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর আগে বুধবার রাতে আশুগঞ্জ বাজারের ভাড়াবাসা থেকে রোমান মিয়াকে আটক করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। রোমান মিয়া আশুগঞ্জ থানায় ২০ আগস্ট হওয়া একটি মামলায় এজাহার নামীয় ৬ নং আসামি। তাকে ছেড়ে দেয়ার এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার সময় আশুগঞ্জ বাজারের ভাড়া বাসা থেকে যৌথ বাহিনীর একটি দল রোমান মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। রাত থেকেই তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বিএনপি দলীয় অনেক নেতাকর্মী ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের লোকজন থানায় চাপ দিতে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে থানার সামনে অনেকেই অবস্থান নেন তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য। একপর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রোমান মিয়াসহ আরও অনেকেই তাদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ করে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি করেন। একপর্যায়ে রোমান মিয়াসহ আরও অনেকেই তাদের কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে ছাত্রদের উপর গুলি ছোড়েন। এসময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আসামিরা তাদের কাছে থাকা পেট্রোল দিয়ে অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় মো. রমজান মিয়া বাদি হয়ে আশুগঞ্জ থানায় ২০ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় রোমান মিয়া ৬ নং আসামি। মামলায় রোমানের আপন ছোট ভাই দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেল মিয়া ৫ নং আসামি। এছাড়াও এই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ মঈন উদ্দিন মঈনকসহ ৪৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে মামলার বাদি রমজান মিয়া প্রথমে বলেন, যে থানা থেকে কল করা হলে সে বিকালে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেলেন। পরে আবার বলেন যে, তিনি রোমান মিয়াকে ভুলক্রমে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা বিএনপির দুইটা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। সে সরাসরি দেখা করে কথা বলবেন বলে জানান।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, রোমান মিয়া একটি মামলার ৬ নং আসামি। রাতে তাকে আটক করা হলেও সকালে বাদি রোমান মিয়ার নাম ভুলক্রমে এজাহারে লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বাদি বিষয়টি আদালতেও জানিয়েছেন। বাদীর বক্তব্যের কারণেই রোমান মিয়াকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।