বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতির তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উৎপাদন, সরবরাহকারী সংস্থা সমূহের যে কোনো দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের জাতীয় রিভিউ কমিটি। এসব খাতের দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত, প্রমাণাদি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে পারবে জনগণ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (সংশোধিত ২০২১) এর অধীনে সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবে। এছাড়া চুক্তিবদ্ধ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উৎপাদন, সরবরাহকারী সংস্থা কর্তৃক দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণ [email protected] এই ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজি বাংলাদেশ সাবেক সিওও আলী আশরাফ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অব ল এন্ড সোশ্যাল সায়েন্স এর অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান।
কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কমিটি যেকোনো সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় যেকোনো নথি নিরীক্ষা করতে পারবে; সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শুনানিতে আহ্বান করতে পারবে এবং ওই আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে সরকারের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে কিনা তা নিরীক্ষা করবে।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০ সালে দুই বছরের জন্য 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন' করে। পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালে দুই বছর, ২০১৪ সালে চার বছর, ২০১৮ সালে তিন বছর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালে পাঁচ বছরের জন্য আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
এ আইনে এমন বিধান করা হয় যে বিদ্যুতের জন্য জ্বালানি আমদানি অথবা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন অথবা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অন্য কোনো কার্যক্রম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উপস্থাপন করা যাবে না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বিধান বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) আইন’ প্রণয়ন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। শুরুতে দুই বছরের জন্য আইনটি করা হলেও পরে ২০১২ সালে ২ বছর, ২০১৪ সালে ৪ বছর, ২০১৮ সালে ৩ বছর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালে ৫ বছরের জন্য এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
আইনটির ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়, যে বিদ্যুতের জন্য জ্বালানি আমদানি অথবা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন অথবা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অন্য কোনো কার্যক্রম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উপস্থাপন করা যাবে না। নানা সমালোচনার মুখেও দফায় দফায় আইনটি নবায়ন করা হয় এবং এর অধীনে অনেকগুলো চুক্তি করা হয়।