বাংলার সৌরভ জাহাজে আগুন, ৩৬ ক্রুকে উদ্ধার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলার সৌরভ জাহাজে আগুন, ৩৬ ক্রুকে উদ্ধার

বাংলার সৌরভ জাহাজে আগুন, ৩৬ ক্রুকে উদ্ধার

ঠিক যেন 'এমটি বাংলার জ্যোতি’ জাহাজের দুর্ঘটনার দৃশ্যায়ন। প্রথমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, তারপর ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। এভাবেই বাংলার জ্যোতির মতো শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাত পৌনে একটায় জ্বলতে শুরু করে 'এমটি বাংলার সৌরভ'! 

তবে পাঁচদিন আগে বাংলার জ্যোতির ঘটনায় তিনজন মারা গেলেও বাংলার সৌরভের ৩৬জন ক্রুকে নিরাপদে কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। আর কোনো ক্রু জাহাজটিতে আছে কিনা জানা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার রাত সোয়া ২টার দিকে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. শাকিব মেহবুব জানান, বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত বিএসসির ওয়েল ট্যাংকার বাংলার সৌরভ জাহাজে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে কোস্ট গার্ড ৩৬ জন ক্রুকে নিরাপদে উদ্ধার করেছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে ও উদ্ধার অভিযানে কোস্ট গার্ড টাগ শিপ বিসিজিটি প্রমত্ত, মেটাল শার্ক ৩টি ও ৪টি টিম এ বিভক্ত হয়ে কাজ করছে।

তবে রাত আড়াইটা পর্যন্ত আগুন নির্বাপণ করা যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।

কয়েকদিনের ব্যবধানে দুর্ঘটনার শিকার জাহাজ দুটিই বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি)। 

এর আগে, গত সোমবার এমটি বাংলার জ্যোতি জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুনের ঘটনায় তিনজন মারা যান। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। অনেকে এটিকে বাংলার জ্যোতিতে যেভাবে আগুন লেগেছিল সেটির সঙ্গে তুলনা করছেন।

রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থেকে লুৎফর হোসাইন নামের এক যুবক লাইভ দেন। তিনি নিজেও আরেকটি জাহাজে কর্মরত আছেন। পরে লুৎফর বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বঙ্গোপসাগরের পারকি সৈকতের অদূরে নোঙর করা ছিল বাংলার সৌরভ। রাত পৌনে একটার দিকে জাহাজটিতে বিকট শব্দ হয়। পরে দেখি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক সূত্র জানায়, একটি জাহাজের আয়ুষ্কাল থাকে ২০ থেকে ২৫ বছর। এরপর তা আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করতে পারে না। কিন্তু এমটি বাংলার জ্যোতি ও এমটি বাংলার সৌরভ নামের ট্যাংকার দুইটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল ডেনমার্কে। ট্যাংকার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।