সাড়ে ৮ হাজার আনসার সদস্য সাময়িক অব্যাহতি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর আনসার সদস্যদের আন্দোলনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার আনসার সদস্যকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি করে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তরে শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এ কথা বলন।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর আনসারের কিছু উচ্ছৃঙ্খল সদস্য সচিবালের সামনে বিদ্রোহ করেছে। এর প্রেক্ষিতে ছাত্র-জনতার মধ্যে একটি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের মোতায়নের করা নিয়ে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। এই আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে আমরা প্রায় ১৩ হাজার ৮০ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিলাম। তাদের অব্যাহতি দেওয়ার পর আমরা তাদেরকে কোন ডিউটি দেইনি। তবে আমরা এই ১৩ হাজার ৮০ জনের মধ্যে আরো যাচাই-বাছাই করেছি। যাদের আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টতা বা তেমনভাবে সম্পৃক্ততা ছিল না এমন ৪ হাজার ৬৬৯ জন কে সাধারণ ক্ষমার আওতায় তাদেরকে আমরা পূর্ণরাই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেছি।

তিনি বলেন, তবে এখনো ৮ হাজার ৬১১ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে রাখা হয়েছে। আর আন্দোলনের সময় যারা খুবই আগ্রাসী এবং হিংসাত্মক ভূমিকা পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৪৭ জন আনসার সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। উচ্ছৃঙ্খল আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন করেছিলেন তারা এখন বুঝতে পেরেছেন এটি খারাপ কাজ ছিল। তাদের যে দাবিগুলো সেগুলো এড্রেস করা হয়েছে। ওদের দাবি ছিল বেতন, আনসার সদস্যদের বেতন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আনসার সদস্যদের রেশন বাড়ানো নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা গিয়েছে মন্ত্রণালয়। আমি নিশ্চিত এ বিষয়ে একটি পজিটিভ নির্দেশনা আসবে । যেহেতু এরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করে তাই এদের কোন পেনশন নেই তাদের একটা পেনশন সুবিধার দাবি ছিল। আমরা চেষ্টা করছি আনসার ব্যাংকের কোন পেনশন স্কিমের তাদের যুক্ত করা যায় কিনা।

আনসার ডিজি বলেন, দেশের অন্য সব খাতের মত আনসার বাহিনীতেও সংস্কার চলছে। আগে দেখা গিয়েছিল যে আনসার সদস্যদের কার্যক্রম শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট একটি পরিধির মধ্যে ছিল। আমরা এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া এমনভাবে করব যাতে করে এখানে সকল জেলার প্রতিনিধিত্ব থাকে। আগে দেখা যেত আনসার সদস্যরা তাদের নিজস্ব চাওয়া অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পেতেন। কিন্তু এখন আর এমনটি হবে না। আমাদের নতুন বিধিমালা অনুযায়ী সবাইকে অন্যসব চাকরির মত যে কোন জায়গায় গিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আনসার বাহিনীতে এখন আর অনিয়ম কিংবা অনিয়মতান্ত্রিক কোন কার্যক্রম থাকবে না।