বুলডোজারে বিলীন রাজ্জাকের ৬০ বছরের স্মৃতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
আব্দুর রাজ্জাকের পান দোকান, ছবি: বার্তা২৪.কম

আব্দুর রাজ্জাকের পান দোকান, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এইতো কিছুদিন হইবো, হারাদিন কাম কইরা শরীরটা জিরানির লাইগা এই পানের দুয়ানে আইছিলাম। এনে পান খাইতাম আর গ্রামের পোলা মাইয়ারে টেলিফোন করতাম। আমার লাহান এইরম শত শত মজুর পান খাইতে লাইন লাগাইতো এই দোহানে। আইজ সাহেবরা দুপুরে দোহানটা ভাইঙ্গা দিছে। কেউ না করে নাই।’

বলছিলাম চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ের উচ্ছেদে গুড়িয়ে দেওয়া ৬০বছরের ‘রাজ্জাক স্টোরের’ কথা। বয়সের ভাড়ে নুইয়ে পড়া আলতাফ মিয়া এই দোকানের পানের স্বাদ নিতেন ২৪ বছর ধরে।

আলতাফ মিয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলাম দোকানটির কথা। ওই সময়ে অনেকে এসেছিলেন দোকানটি শেষবারের মতো দেখতে, কেউ এসেছিলেন ভেঙে দেওয়া ধ্বংসাবেশ কুড়িয়ে নিতে।

পাকিস্তান আমলে এক প্রকার সৌখিনতার বশে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক পানের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। দোকানের আয় দিয়ে চলছিল তার পরিবারের প্রয়োজন। ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আব্দুর রাজ্জাক মারা গেলে ঐতিহ্যগতভাবে তাই এই ব্যবসার হাল ধরেন বড় ছেলে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। পরিসর বাড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনারী সামগ্রী দিয়ে চালান ব্যবসা। সবকিছু চলছিলো ঠিকঠাক।

পারিবারিকভাবে গড়ে ওঠা মাছিরঘাট গেইটের স্থানে সময়ের পরিধিতে গড়ে ওঠে ইমাম, রুপসা, আহমদিয়া, ফাইভ স্টার, নুর মদিনা, বিসমিল্লাহ, আল ফারিয়ালসহ বেশ কয়েকটি লবণের গুদাম। এসব গুদামে কর্মরত প্রায় ছয়শ’র অধিক শ্রমিকের সুখ-দুঃখের সম্পৃক্ত আব্দুর রাজ্জাকের পান দোকানের স্মৃতি।

সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা আলতাফ মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, আশেপাশের কাজ করা শ্রমিক থেকে নিম্ন পর্যায়ের যে কোনো মজুরি মিয়ার পান খেয়ে কাজে নামেনি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। অত্যন্ত নিরেট ভদ্র আর মিষ্টাভাষী আব্দুর রাজ্জাকের অনেক গুণ পায় তার ছেলে জসিম। কি রাত দিন, রাজ্জাক ভাই পান না খাইয়ে কাউকে ছাড়তেন না। তিনি মানুষকে পান খাওয়াতে পছন্দ করতেন।

দোকানের পাশে বার বার বাবার ফেলে যেওয়া স্মৃতিতেই যেন খুঁজছিলো জসিম। কখনও তার মনে হয়নি, বাবার রেখে যাওয়া স্মৃতি একদিন তলিয়ে যাবে।

বার্তা২৪.কমকে জসিম বলেন, বাবার রেখে যাওয়া দোকান দিয়ে আমাদের পরিবার চলতো। বাবা মানুষকে ভালোবাসে পান দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। আমাদের সবাই বাবার ছেলে বলে গর্ব করতাম। আমাদের কষ্ট লাগছে, বাবার রেখে যাওয়া স্মৃতি আমাদের সাথে আর নেই। কাল থেকে নতুন জীবন যুদ্ধের নামতে হবে আমাদের।

মাঝিরঘাট লোহারগেইটের ওই স্থানে রয়েছে ২৫টির অধিক লবণের গুদাম। এসব গুদামের ভাড়ায় নিয়ে চলে ব্যবসা করছেন ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। এরা বেশিরভাগেই পারিবারিকভাবে এ পেশায় সমৃদ্ধ। এ ব্যবসায়ের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নির্ভর করছে পরিবারের ভরণ-পোষণ। গুদাম ভেঙে দেওয়ার ফলে ইতিমধ্যে অনেক শ্রমিকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযান অব্যাহত থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়বে জসিমের ৫০ হাজারের অধিক পরিবারের আয়ের খাত। একইসঙ্গে গুদামের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের লবণ শ্রমিকরা। তাদের কাছ থেকে লবণ নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদাম নেই; লবণ নিয়ে কোথায় রাখব?

এদিকে উচ্ছেদ কার্যক্রমের চতুর্থ দিনে প্রথমবারের মতো পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা চাচ্ছি ঢাকার সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামে মানুষের প্রশান্তি ও বিনোদনের জন্য হাতিরঝিলের আদলে একটি পর্যটন স্পট করার। যাতে মানুষ বিনোদনের জায়গা পায় এবং মানসিক প্রশান্তি পায়। এর পাশাপাশি উদ্ধারকৃত জায়গা সংরক্ষণে আমাদের তদারকি রয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে এসব জায়গা বেদখল করতে দেওয়া হবে না।

এ সময় তিনি জানান, গত চারদিনে প্রথম ধাপের ৭৫ শতাংশ অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। দু একদিনের মধ্যে বাকি ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ে ২ হাজার ১১২টি স্থাপনার মধ্যে সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ ছয়টিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে বন্দরের মালামাল ওঠানামার সুবিধার্থে তাদের লিজ দেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনীর একটি স্থাপনা, এয়ারপোর্টের রানওয়ে এমন ছয়টিকে প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কোনো বিবেচনা নেই, আরএস অনুযায়ী যেগুলো ভাঙার প্রয়োজন, ইনশাআল্লাহ- সবগুলো ভাঙা হবে।

রাতের আড়ালে দুর্বৃত্তরা সীমানা ছড়িয়ে দিচ্ছে এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক জানান, সেরকম কোনো সুযোগ নেই, সব আমার নখদর্পনে, সব আমাদের মুখস্ত। এর বাইরে কেউ প্রবেশ করলেও তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোর্পদ করা হবে।

   

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্টে নারী স্পিকারদের সম্মেলন লিঙ্গ সমতা আনয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম।

শুক্রবার (১৭ মে) অপরাহ্নে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অব উইমেন স্পীকার্স অব পার্লামেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিভিন্ন দেশের সংসদের স্পিকারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। স্পিকাররা একটি অভিন্ন প্লাটফর্মের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।

স্পিকার বলেন, বিগত সম্মেলন গুলোতে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। ১৫তম নারী স্পিকারদের সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারীদের সার্বিক উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো.এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। 

;

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।

শনিবার (১৮ মে) সকালে বরিশালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম- গোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই অম্লান চেতনাকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা হাটি-হাটি, পা-পা করে আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না- স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে- রূপকল্প-২০৪১। এছাড়া, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

স্থানীয় সরকারের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাস ও দোলা গুহসহ অন্যান্য ট্রাস্টি বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের অধীনে পুরোহিত ও সেবাইতদের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংহত করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পুরোহিত ও সেবাইতকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

;

নামাজ পড়ে ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ফজরের নামাজ পড়ে ফেরার পথে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় জুয়েল (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জুয়েল গফরগাঁও উপজেলার উত্তর সিপান গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

শনিবার (১৮ মে) ভোরে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সিডষ্টোর উত্তর বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সে শারমীন গ্রুপের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাসা ফেরার জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ঢাকাগামী একটি অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি হস্তান্তর করা জন্য আবেদন করলে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।

;

জুজুতসু খেলোয়াড় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কোচ গ্রেফতার 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী জুজুতসু খেলোয়াড়কে জোর করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় অভিযুক্ত কোচ ও এ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম  নিউটন ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। 

তিনি বলেন, জুজুতসু খেলোয়াড়কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু এ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এএসপি ইমরান আরও বলেন, এ বিষয় বিস্তারিত জানাতে সন্ধ্যায় কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বিস্তারিত জানাবেন।

;