সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।

শনিবার (১৮ মে) সকালে বরিশালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম- গোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই অম্লান চেতনাকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা হাটি-হাটি, পা-পা করে আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না- স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে- রূপকল্প-২০৪১। এছাড়া, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

স্থানীয় সরকারের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাস ও দোলা গুহসহ অন্যান্য ট্রাস্টি বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের অধীনে পুরোহিত ও সেবাইতদের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংহত করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পুরোহিত ও সেবাইতকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

   

মামলা করলেন আত্মহত্যা করা চিকিৎসকের মা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
অপর্ণা বসাক

অপর্ণা বসাক

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অপর্ণা বসাক (৩০) নামের এক চিকিৎসক নিজের শরীরে আগুন দিয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহত অপর্ণার মা জ্যোৎস্না বসাক বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। 

আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ একজনকে আসামি করে বুধবার (২৬ জুন) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরের দিকে অপর্ণা নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, ‘ভালো থাকো। আমি আর পারছি না। হয়তো সবার মতে হেরে গেলাম। মুক্তি দিয়ে গেলাম।’ স্ট্যাটাসটিতে খন্দকার মাহবুব এলাহী নামের এক ব্যক্তিকে ট্যাগ করে দেওয়া হয়। এরপর নিজ কক্ষ থেকে অর্পণার পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহত চিকিৎসকের মা জ্যোৎস্না বসাক বাদি হয়ে বুধবার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন। সেখানে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করা খন্দকার মাহবুব এলাহীকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মাহবুল এলাহীর কোনো ঠিকানা নেই। ফেসবুক আইডিটিও ডিজেবল দেখাচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।’

অপর্ণা বসাক জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রয়াত রতন বসাকের মেয়ে। দুই মাস আগে ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেন তিনি। ওই বাসায় মা জ্যোৎস্না বসাককে নিয়ে থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক অপর্ণা বসাক ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি বগুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

;

মতিউরের স্বজনদের সম্পদের পাহাড়, দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে হতবাক গ্রামবাসী!



এস এল টি তুহিন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল
মতিউরের গ্রামের দ্বিতল আলিশান বাড়ি

মতিউরের গ্রামের দ্বিতল আলিশান বাড়ি

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে দেশের আলোচিত ঘটনা 'ছাগল কাণ্ড' ঘটনার মূল চরিত্রে আসীন হওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের জন্ম বরিশালের মুলাদী উপজেলায় বাহাদুরপুর গ্রামে। নিজ গ্রামের মানুষ তাকে চেনেন পিন্টু নামে।

পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলায় খালা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা মতিউর রহমান পিন্টুর সম্পদের পাহাড় এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে পুরো গ্রামজুড়েই চলছে সমালোচনার ঝড়। একজন স্কুল শিক্ষকের সন্তান হয়ে কীভাবে গড়েছেন এতো সম্পদের পাহাড় সেই প্রশ্নে হতবাক গ্রামবাসী।

নিজ গ্রাম মুলাদীতে তেমন সম্পদ নেই মতিউর রহমান পিন্টুর নামে। তবে স্বজনদের রয়েছে বাড়ি, গাড়িসহ অঢেল সম্পদের পাহাড়। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে মতিউর রহমান পিন্টুর হাত ধরে। স্থানীয়দের দাবি, মতিউর রহমান রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পরপরই অর্থ-সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।

বুধবার (২৬ জুন) সরেজমিনে মুলাদীর কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপর গ্রামে দেখা যায়, মতিউর রহমানের গ্রামের বাড়িতে দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল আলিশান বাড়িসহ রয়েছে দৃষ্টিনন্দন নানান স্থাপনা। খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতু পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন মাদ্রাসা ও মসজিদ। একপাশে তিনতলা মাদ্রাসা এবং অপরপাশে দ্বিতল মসজিদ। দুটি স্থাপনার মাঝেই রয়েছে বিশাল দৃষ্টিনন্দন গেট। সেই গেট পার হয়ে যেতে হয় মতিউর রহমান পিন্টুর বাড়িতে। তবে বুধবার বিকেলে সেই বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকে। বাড়ির কলাপসিবল গেটে ঝুলছে তালা। ভেতরে লোক থাকলেও সাংবাদিক দেখেই লুকিয়ে পড়েন তারা।

মতিউর রহমান পিন্টুর বাড়ির দক্ষিণ দিকে রয়েছে রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। তার পাশেই তিনতলা একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। যা ব্যবহার করা হচ্ছে কলেজ ভবন হিসেবে। এদিকে, পিন্টুর বাড়ির সামনে দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়া খালের দুই পাড় বাঁধানো হয়েছে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে। খালের দুই পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে পৃথক দুটি পাকা রাস্তা। খালের দুই পাড়ের প্রতিটি বাড়ির সামনে বাঁধানো হয়েছে অসংখ্য ভানায় খাটলা। খালের ওপর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু।

স্থানীয়দের দাবি, নিজের এবং স্বজনদের বাড়িঘর রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান পিন্টুর প্রচেষ্টায়।

মতিউর রহমান পিন্টুর মেঝ ভাই কাইয়ুম শের হাওলাদার। যিনি একসময় শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে ঢাকার বড় শিল্পপতি। মুলাদী পৌর এলাকায় থানার পাশেই রয়েছে তার দোতলা বাড়ি। গ্রামে আসলে ওই বাড়িতেই থাকেন কাইয়ুম হাওলাদার।

বরিশাল মুলাদীর প্যাদারহাট বাজারে পিন্টুর ছোটভাই নুরুল হুদার রয়েছে বহুতল ভবন। সেই ভবনেই পিন্টুর মায়ের নামে চালু করা হয়েছিল একটি ক্লিনিক। স্থানীয়দের দাবি, ক্লিনিকটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে গ্রামে অনেক জমিও রয়েছে পরিবারের সদস্যদের। এসব সম্পত্তি মতিউরের পরিবার করলেও এর প্রকৃতি মালিক কে তা জানা নেই কারোর।

স্থানীয়দের দাবি, সকল প্রতিষ্ঠানই গড়ে তোলা হয়েছে পাওলাদার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। এমনকি সেই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই পরিচালনা হচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এ ফাউন্ডেশনে কারা জড়িত এবং অর্থের উৎস কী জানা নেই গ্রামবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুস ছত্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মতিউর রহমান নামেই পরিচিত এনবিআরের সাবেক সদস্য পিন্টুর বাবা হাকিম হাওলাদার একসময় ঢাকার টঙ্গীতে একটি কারখানায় চাকরি করতেন। সেখান থেকে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। অবসরে গিয়ে কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর দায়িত্ব পালন করেন টানা ৯ বছর। গ্রামে যে বাড়িটি নির্মাণ করেছে সেটা হাকিম হাওলাদারের নির্মাণ করা, দাবি আব্দুস ছত্তারের। তবে মতিউর ও তার পরিবার কীভাবে এতো অর্থ সম্পদের মালিক হলেন তা জানা নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০৩ সালে কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন মতিউরের বাবা হাকিম হাওলাদার। জীবদ্দশায় তিনি কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। মুলাদী উপজেলা ১৪ দলের বর্তমান সমন্বয়ক ইউসুফ আলীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আবার ওয়ান-ইলেভেনের সময় চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হলেও নানা উপায়ে আরও প্রায় চার বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকেন হাকিম।

অপরদিকে, স্কুলজীবন থেকেই মেধাবী ছিলেন মতিউর। তবে পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মুলাদীর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলায় খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরিবারে ৩ ভাই আর ২ বোনের মধ্যে বড় মতিউর রহমান পিন্টু বিএনপি শাসনামলে বিএনপি নেতা মোশারেফ হোসেন মঙ্গুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।

রাজস্ব ক্যাডারে যাওয়ার আগে ১১তম বিসিএসে ট্রেড ক্যাডারে চাকরি হয়েছিল তার। ট্রেড ক্যাডার বিলুপ্ত হলে পছন্দ অনুযায়ী অন্যান্য ক্যাডারে যাওয়ার সুযোগ পান ট্রেড ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আর রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে মতিউরের যোগদানের পর এই পরিবারকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, মতিউর রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত হাকিম হাওলাদারের পরিবারে তেমন সচ্ছলতা ছিল না। গ্রামে জায়গা-জমির পরিমাণও খুব বেশি ছিল না। তবে ৯১-পরবর্তী বিএনপির শাসনামলে রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে মতিউরের উত্থানের পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে এই পরিবারের অর্থবিত্তের চিত্র।

তারা আরও জানান, মতিউর রহমানের মেজভাই কাইয়ুম হাওলাদারের শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। ভাই রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পর সম্পদের পাহার গড়ার মিশনে নামেন তিনি। রাজধানী ঢাকার টঙ্গীতে গড়ে তোলেন ট্রাভেল ব্যাগ তৈরির কারখানা। ছাগল কাণ্ডের আগে অর্থাৎ ঈদের একমাস আগেও সোনালী ব্যাংক থেকে বড়ভাই মতিউর রহমানের প্রভাবে তিনশত কোটি টাকার লোন নেন কাইয়ুম হাওলাদার। বাবা বিএনপি নেতা হলেও সম্প্রতি মুলাদীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজের নাম লেখান কাইয়ুম। অর্থবিত্তের প্রভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আধিপত্য। বাবাকে চেয়ারম্যান বানাতে প্রচুর টাকা খরচ করেছিলেন মতিউর। কারণ ২০০৩ সালে মতিউর ছাড়া তখন অন্য ভাইয়েরা স্বাবলম্বী ছিলেন না।

এদিকে, মতিউর ঢাকার বিত্তশালী হওয়ার বিষয়টি জানলেও তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানা ছিল না এলাকাবাসীর। মতিউরের গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী মাসুম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মতিউর রহমানের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তাদের খুব একটা যাতায়াত নেই। গ্রামের বাড়িটি দেখাশোনার জন্য একজন কেয়ারটেকার রয়েছে। তার বাড়িও খুলনায়।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে মতিউর রহমানের বাবা আবদুল হাকিম হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন। তখন মতিউর রহমান বাড়িতে এসেছিলেন। পরের বছর মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে আসেন। বাড়িতে তার ছোট ভাই নুরুল হুদা ও মেজ ভাই কাইয়ুম হাওলাদার মাঝেমধ্যে আসেন। তিনি জানান, নুরুল হুদা ঈদের এক দিন আগে এসে কোরবানি দিয়েছেন। পরে আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন।

বাহাদুরপুর রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে বলেন, 'এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মতিউর রহমান। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হয়েছে। এখানের বর্তমান সভাপতি মতিউর রহমান। তবে আমি যোগদান করেছি প্রায় ৮ মাস। এর মধ্যে একবারের জন্যও গ্রামে আসেননি তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হলে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। বর্তমান ঘটনার পর থেকে তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাহাদুরপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় খাল ভরাট করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষক এবং জনপ্রতিনিধিরা বিরোধিতা করলেও সুফল পাননি তারা। মতিউর রহমানের প্রভাবের কাছে হার মানতে হয় তাদের।

এ প্রসঙ্গে মুলাদীর কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি গড়ার সময় এলাকার কৃষকেরা প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। জোয়ার-ভাটার খাল আটকে দেওয়ায় শুকনো মৌসুমে ফসলি জমিতে সেচ দিতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

;

আওয়ামী লীগ আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিবে আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: আওয়ামী লীগ

ছবি: আওয়ামী লীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ পঞ্জিকা বছর ২০২৩-এর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন)। এজন্য সকাল ১১ টায় নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। 

বুধবার (২৬ জুন) আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, আগামীকাল ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন অফিসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পঞ্জিকা বছর ২০২৩-এর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা প্রদান করবে।



;

ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, সিলেটে অপেক্ষায় যাত্রীরা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে

কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্রগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীরা আটকা পড়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা পৌণে সাতটার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে। 

এদিকে, রাত ১০টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। অনেকে ট্রেন সঠিক সময়ে না আসায় বিকল পথ হিসেবে বাস ও মাইক্রোবাসে যাত্রা শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন।

ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী মোহাম্মদ খোকন বলেন, আখাউড়া যাওয়ার জন্য এসেছি। রাত ১০টায় ট্রেনে যাত্রা শুরু কথা থাকলেও ট্রেন এখনো আসেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে অপেক্ষা করার জন্য। তাই এখানে বসে আছি।

কুলাউড়া যাওয়ার জন্য একইভাবে অপেক্ষা করছিলেন আনহার মিয়া। তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কখন ট্রেন আসবে আর কখন বাড়ি যাব জানি না।

সালেহ আহমেদ নামে একজন বলেন, চট্রগ্রাম যেতে ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। ট্রেন আসতে দেরি হবে। টিকিট কেটে ফেলেছি। এখন আর কি করবো অপেক্ষা করি দেখি কখন ট্রেন আসে।

যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, সিলেট রেল স্টেশন থেকে কুলাউড়াগামী বাস ও মাইক্রোবাসে ৫০-১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। চালকদের দাবি গাড়ি কম থাকায় তারা ৫০-১০০ টাকা ভাড়া বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।

সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ৬টি বগি মোগলাবাজার রেলস্টেশন নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিগুলো মাইজগাঁও রেলস্টেশনে নিয়ে রাখার কাজ চলছে। উদ্ধার কাজে আনুমানিক আরও ১-২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

এই রিপোর্ট রাত পৌণে ১১টায় লেখা পর্যন্ত ট্রেনের লাইন স্বাভাবিক হয়নি। উদ্ধার কাজ চলছে।

;