দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর মরদেহ উদ্ধার/ছবি: সংগৃহীত

নারীর মরদেহ উদ্ধার/ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে সুমি আক্তার মিতা (৩১) নামের এক যৌনকর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মিতা যৌনপল্লীর জাহাঙ্গীর ও দবিরের বাড়ীর দোতলায় তিনটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে থানা পুলিশ তার বসত ঘরের কক্ষ হতে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

নিহত মিতা ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় চৈতা বারাত নারিশা গ্রামের কাদের ফকিরের মেয়ে। সে বিগত ৭-৮ বছর ধরে এ পল্লীতে বসবাস করছিল।

পুলিশ ও যৌনপল্লী সূত্রে জানা গেছে, মিতা রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে তার পাশের সাঈদের বাড়ির ড্যান্স ফ্লোরে নৃত্য করে এবং মদ পান করে। পরে সেখান থেকে একজন খদ্দের নিয়ে নিজ ঘরে ফিরে আসে। সোমবার সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও তাকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য মেয়েরা মিতার দোতলার কক্ষে যায়। সেখানে তারা মিতার কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান এবং মিতাকে ভেতরে জানালার গ্রিলের সাথে রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিছানায় মৃত দেখতে পান। এ সময় তার গলায় একটি ওড়না পেঁচানো ছিল। এ ঘটনায় যৌনপল্লীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার বেলা ১১ টার দিকে মিতার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মুকিত সরকার এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সেখানে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে বেলা ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, নিহত মিতার আফরিন নামে ৪ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন কি কারণে এবং কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।