কচুরিপানার ভারে সাঁকো ভেঙে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কচুরিপানার ভারে সাঁকো ভেঙে ভোগান্তি/ছবি: বার্তা২৪.কম

কচুরিপানার ভারে সাঁকো ভেঙে ভোগান্তি/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদী। বন্ধুসুলভ নদীর উপর নির্ভর করে অসংখ্য মানুষের জীবিকা। কৃষিতেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে নদী। তিস্তার শাখা নদীর উপর ভিত্তি করে কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ানের গোপিডাঙ্গা মোলভীবাজারের এলাকাবাসীদের যাতায়াতের অবলম্বন। দীর্ঘদিন ধরে শাখা নদীতে আটকে থাকা কচুরিপানার ভারে বন্ধ হয়ে যায় পানি প্রবাহ। এতে করে বন্যায় সেতুর দুই পাড় ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে একালার ১০ হাজার মানুষ।

নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় তিনশতাধিক শ্রমিক দিয়ে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে এই উদ্যোগ নেন আরিফা ফুড প্রোডাক্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতাউর রহমান। নদী থেকে কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে শ্রমিকদের খাবারের ব্যবস্থা করেন। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে সহযোগিতা করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

বিজ্ঞাপন

কচুরিপানা পরিস্কারের সময় আরিফা ফুড প্রোডাক্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতাউর রহমান বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ আমার কাছে দাবি করেন তাদের যোগাযোগের সাঁকোটি ভেঙে পরায় নাজেহাল অবস্থা। কচুরিপানা পরিস্কার করার পর উপজেলা প্রশাসন থেকে সেতুর দুই পাড় ঠিক করে যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে। এতে করে চরের মানুষের যাতায়তের ব্যবস্থা ভালো হবে।খুব সহজেই চরের বিভিন্ন ফসল বিক্রি করে ভাল পারিশ্রমিক পাবে এলাকার কৃষকরা। এসব কারণ বিবেচনায় নদীর কচুরিপানা পরিস্কারের এই উদ্যোগ গ্রহণ করি।

এই উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছিলাম না। সহযোগিতার অভাবে আমরা খুব কষ্টে ছিলাম এই বাঁশের সাঁকো নিয়া। ফসল নিয়া পারাপারসহ যাতায়তের সমস্যায় অনেক কষ্ট হইছে। এখন নদী পরিষ্কার হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ অনেক বেশি মাছ পাওয়া যাবে। আর সেই মাছ ধরে অনেক এলাকাবাসীর সংসার চলবে। আমাদের জন্য খুব উপকার হইলো।'