নির্বাচনের জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বান আসিফ নজরুলের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আসিফ নজরুল

আসিফ নজরুল

১৬ বছর ধৈর্য রেখেছেন এখন ধৈর্য হারা হলে হবে না। আমাদের ধৈর্যটা একটু রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে বাংলা একাডেমিতে ব্রেইন ও আদর্শ প্রকাশনি আয়োজিত 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর উপর দিনের পর দিন ভরসা রেখেছি কিন্তু তারা করে নাই। হাজার হাজার মানুষ নিকৃষ্ট গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দেয়নি, উতকৃষ্ট গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সে জন্য শুধু নির্বাচন দিলে হবে না। আমাদের সংস্কারও করতে হবে।

অনেকেই সরকারের সমালোচনা করে উল্লেখ করে আসফ নজরুল বলেন, সমালোচনা করবেন তবে দোষারোপ না। সমালোচনা দোষারোপ ভিন্ন জিনিস। খুনিদের রেখে যাওয়া পুলিশ আমি যেভাবে চাইবো সেভাবে কাজ করবে? দ্রব্যমূল্য বাড়লে এটা শেখ হাসিনার দোষ। বেক্সিমকো বন্ধ করলে দশটা জিনিসের দাম বেড়ে যায়, এটা শেখ হাসিনার দোষ।

আওয়ামী লীগের ডিএনএ এর মধ্যে ফ্যাসিজম আছে উল্লেখ করে এই উপদেষ্টা বলেন, এটা যে কত সত্য এটা জুলাই গণঅভ্যুত্থানণের মধ্য দিয়ে দেখেছি।

তিনি বলেন, ১৫ বছরে এত চূর্ণবিচূর্ণ করে গেছে যে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে, ভুল থাকবে। আমাদের নিয়ে সমালোচনা করবেন কিন্তু একটুখানি ভালবাসা নিয়ে বলবেন, আমরা তো আওয়ামী লীগ না।

বিপ্লবি সরকার না করে সাংবিধানিক সরকার গঠনের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, সমস্ত রাজনৈতিক পার্টি সাংবিধানিক পথে যাত্রা শুরু করেছে। ৫ তারিখে যখন সেনাপ্রধান ডেকেছেন বিএনপি গেছে, জামায়াত গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চও গেছে। জাতীয় পার্টির তিন ভাগ সেখানে গেছে। আমি এক কোনায় বসে ছিলাম। সেখানে খালেদা জিয়াকে আজকেই ছাড়তে হবে আমি বলেছিলাম সেটা।

আসিফ নজরুল বলেন, আগে সারাদিন সমালোচনা করতাম সবাই ভালবাসতো, আর এখন সারাদিন কাজ করে সবাই সমালোচনা করে। বলে, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাই।

জুলাইয়ের গণঅভ্যত্থানে যে দলগুলো ছিলো সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার। আমরা যেনো নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি না করি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলেই টিকে থাকবো না হয় মরে যাবো বলেও যোগ করেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ, রাজনীতি বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাহেদ আলম, মনির হায়দার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ।