শ্রদ্ধা-ভক্তিতে বিদ্যার দেবীকে পূজা



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪
ঠাকুরগাঁওয়ের একটি মণ্ডপে পূজা দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, ছবি: বার্তা২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের একটি মণ্ডপে পূজা দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্ঞানের লাভের আশায় শ্রদ্ধা আর ভক্তিতে বিদ্যার দেবীকে স্মরণ করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে সরস্বতী পূজা।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই অঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয় পূজার অনুষ্ঠান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/10/1549794935673.jpg

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাড়া মহল্লায় বারোয়ারি পূজা ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে বিদ্যার দেবীর আরাধনা করে অনুসারীরা। পূজাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপগুলোও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এ বছর মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে অনেক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/10/1549794437984.jpg

পূজায় শিক্ষার্থীদের সমাগম অনেক বেশি। তারা দেবীর কাছে পুরোটা বছর যেন নির্বিঘ্নে এবং মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করতে পারেন এই কামনা করেন। আর নিজেদের ও সংসারের অন্যদের মঙ্গল কামনা করেন বয়সী ভক্তরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/10/1549794459952.jpg

এদিকে পূজাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় নির্মিত হয়েছে ৪৫ ফুট লম্বা প্রতিমা। ৪৫ ফুট লম্বা প্রতিমা দিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধাগবিন্দ ও গনেশ পাগল সেবাশ্রম চত্বরে নির্মিত ৪৫ ফুট উচ্চতার এই সরস্বতী প্রতিমায় পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/10/1549794476860.jpg

উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রীতি অনুযায়ী সরস্বতী বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। তাই মধ্যরাতে মণ্ডপে দেবীর প্রতিমা স্থাপন থেকে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা।

   

মাঝরাতের আগুনে পুড়ল দোকানসহ শতাধিক ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে মাঝরাতে আগুন লেগে কয়েকটি দোকানসহ তিনটি আবাসিক কলোনির শতাধিক কক্ষ পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ওই দোকান ও কক্ষগুলোতে থাকা মালামাল সব পুড়ে গেছে।

বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টা তৎপরতা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে একটি কলোনির কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হঠাৎ আগুন লাগে। পরে কলোনির লোকজন চিৎকার চেচামেচি করলে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততক্ষণে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। এসময় ওই কলোনিগুলোত শতাধিক কক্ষে থাকার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার সার্ভিস ও কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার স্টেশনের মোট ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে৷

;

নিখোঁজের একদিন পর চিত্রা নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর উপজেলায় চিত্রা নদীতে গোসলে নেমে রাজ শেখ (১২) নামে এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজের একদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাতে নড়াইল সদর উপজেলার বরাশুলা গ্রামে চিত্রা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় চিত্রা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সে।

মৃত রাজ শেখ বরাশুলা গ্রামের মো. সাইফুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় বরাশুলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মাসুদ রানা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে আছরের নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলে রাজ। পরে সন্ধ্যার দিকে পার্শ্ববর্তী চিত্রা নদীতে সঙ্গীদের সাথে নিয়ে গোসল করতে নামে। তখন নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় রাজকে টেনে নিয়ে যায়। এসময় রাজের সঙ্গী ও আশপাশ থেকে স্থানীয়রা এসে নদীতে নেমে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া পাননি। পরে নড়াইল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে তার খোঁজ না পেয়ে বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সন্ধান না পেয়ে অভিযান শেষ করে। এক পর্যায়ে এদিন সন্ধ্যায় নিখোঁজের একদিন পর ঘটনাস্থলেই তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, গতকাল রাত থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে বিকেল ৪ টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫৮৯ পিস ইয়াবা, ৩৭ গ্রাম হেরোইন, ১৫ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৬৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

মাটির চুলা তৈরি করে চলে বৃদ্ধা সালেহার পেট



সোহাগ হাফিজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি চুলা। একসময় গ্রামগঞ্জে এ চুলার বেশ কদর থাকলেও এখন আর তেমন দেখা যায় না। তবে এ চুলা তৈরি করেই বিক্রির টাকায় চলে ৬০ বছর বয়সী বরগুনার বৃদ্ধা বিধবা সালেহার পেট। চুলা বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনোভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তার।

বরগুনা পৌরশহরের পুলিশ লাইন এলাকার রাস্তার পাশে বসে প্রতিদিন বিকেলে মাটি দিয়ে চুলা তৈরি করতে দেখা যায় সালেহাকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১২ বছর আগে। বৃদ্ধ সালেহার কাছের আপন আত্মীয় বলতে এক ছেলে থাকলেও তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক। বেশি টাকা আয় করতে না পারায় মায়ের ভরণপোষণ দিতে পারেন না তিনি। এ কারণে বয়সের ভাড়ে কিছুটা নুয়ে পড়লেও নিরুপায় হয়ে পেটের তাগিদে মাটি দিয়ে চুলা তৈরির কাজ করতে হয় সালেহাকে।


চুলা বিক্রি করে তিনি কোনো মাসে তিন হাজার, আবার কোনো মাসে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এ টাকায় খেয়ে না খেয়ে তাকে পার করতে হয় পুরো মাস।

পুলিশ লাইন এলাকায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দূর দুরন্ত থেকে মাঠ ঘাটের মাটি সংগ্রহ করে তৈরি করে রেখেছেন ছোট বড় প্রায় ১৫ থেকে ২০টি চুলা। শুকনো মৌসুমে প্রতিটি চুলা তৈরি করতে সালেহার সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। এসব চুলার আকার অনুযায়ী প্রতিটি চুলা বিক্রি হয় ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। এতে গড়ে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি চুলা বিক্রি করে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বিধবা সালেহার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহনাজ নামের এক প্রতিবেশী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এই চুলা বিক্রি করেই তার নিজের পেট চালায়। তার ছেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সেও ঠিকভাবে রিকশা চালাতে পারে না। এ কারণেই আমি তাকে দেখি প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে এই চুলা তৈরি করেন। অনেক কষ্ট করে দূর থেকে মাটি নিয়ে এসে ১০ থেকে ১২ দিন পরিশ্রম করে একেকটি চুলা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন। এরপর বড় ছোট আকার অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন প্রতিটি চুলা, তাও আবার কোনোদিন বিক্রি হয় আবার কোনোদিন বিক্রি হয় না। আত্মীয় স্বজন বলতে এক ছেলে, সেও অসুস্থ থাকায় কষ্ট হলেও তাকেই এ বয়সে এখন কাজ করতে হয়।


বরগুনার সোনাখালী এলাকার শিউলি বেগম কাজের সুবাদে প্রতিদিন যাওয়া আসা করেন পুলিশ লাইনের ওই রাস্তা হয়ে, বৃদ্ধ বিধবা নারী সালেহার বিষয়ে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেখি তিনি দূর থেকে মাটিকাঁদা নিয়ে এসে চুলা তৈরি করেন। তবে এ চুলার বিকল্প গ্যাসের চুলা থাকায় এখন তো তেমন কেউ মাটির চুলা ক্রয় করে না। এতে কোন দিন ১ টা বিক্রি হয় আবার হয়ও না, আবার দু’মাসেও কোন চুলা বিক্রি হয় না এমনও হয়। এই চুলা বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সে কি খায় কি করে কীভাবে চলে তা তিনিই জানেন।

বৃদ্ধ বয়সে কোনো ধরনের কষ্টের কাজ না করে ঘরে থাকার কথা। কী কারণে প্রতিদিন চুলা তৈরির মত পরিশ্রম করছেন জানতে চাইলে বৃদ্ধ সালেহা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ১১ বছর ধরে এই চুলা তৈরির কাজ করি। আগে কম কাজ করলেও এখন প্রায় গত তিন বছর কষ্ট করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। অভাব না থাকলে কী কেউ এ কষ্টের কাজ করে? আগে ছেলে কিছু টাকা পয়সা দিত, এখন সে অসুস্থ থাকায় আগের মত কোনো টাকা পয়সা দিতে পারে না। ছেলের বউ সেও বাসা বাড়িতে কাজ করে তাদের সংসার চালায়। আমাকে কীভাবে খাওয়াবে? বয়সের কারণে অন্য কোনো কাজ করতে না পারায় বাধ্য হয়েই চুলা তৈরি করেই চলতে হয়। এছাড়া চুলাগুলো ঢেকে রাখতে ভালো দুটি পলিথিন দরকার, তাও কিনতে পারি না। যে টাকা আয় করি তা দিয়ে প্রতিদিন বাজার কিনেই খেতে হয়। আমার এ কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারি না। আল্লাহ যদি আমারে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে আর এত কষ্ট করতে হত না।

;