নিজের পদত্যাগ এড়িয়ে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কার করলেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ
ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক এবং উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেজন্য তিনদিনের জন্য কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সবশেষ শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজি নেয়ামুল হকের সই করা নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর চরদখলের কায়দায় বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন আহমেদকে জিম্মি করে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ যোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত এই অধ্যক্ষ কাজী নেয়ামুল হকের বিরুদ্ধে। এমন কি দায়িত্ব নিয়ে নানা অজুহাতে শিক্ষক ও কর্মচারী মিলিয়ে ১৬ জনকে চাকরিচ্যুত করেন তিনি। যার সর্বশেষ বলি হতে যাচ্ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সুমন।
শিক্ষার্থীদের মূল দাবি এড়িয়ে কথিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা সিটি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাতটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে —
১. ছাত্রদেরকে গালিগালাজ করার কারণে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
২. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সুমনের বহিষ্কারের কারণ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে অতি দ্রুত তাকে কর্মে যোগদান করানো হবে।
৩. ইতোপূর্বে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রিটেইক বাবদ যে সব ফি নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দেওয়া হবে। বিশেষ ক্লাস বা কোচিংয়ের জন্য কোনো ফি নেওয়া হবে না।
৪. আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। পিকনিকের ব্যাপারে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৫. কোন শিক্ষার্থীর অভিভাবককে হয়রানি বা অপমান করা হবে না।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবেগ এবং অনুভূতিকে সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।