লাউ চাষে সফল ভালুকার আব্দুল সামাদ
লাউ চাষে সফলতার মুখ দেখছেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পারাগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল সামাদ। তার এই সফলতার মূলে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় লাউ চাষ।
লাউ চাষি সামাদ কঠোর পরিশ্রমী। তার শ্রমের সঙ্গে কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ ও লাউ চাষে রোগ বালাই কম ও ঝুঁকি না থাকায় সফল হয়েছেন তিনি ।
লাউ চাষে ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। তার সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। বীজ রোপণের দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। এর কিছুদিন পর গাছে লাউ শোভা পায়। ক্ষেত থেকে সেই লাউ সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য এগুলো নিয়ে যান বাজারে। আবার বাড়ি থেকেও পাইকাররা নিয়ে যান।রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয়নি বলে এ লাউ খেতেও খুব সুস্বাদু। তার সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
লাউ ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, আমরা প্রতিদিন সামাদের সবজি বাগান থেকে লাউ সহ অন্য জাতের সবজি ক্রয় করি। সে একজন সফল চাষি।
কৃষক সামাদ জানান, লাউ চাষাবাদে সঠিক পরিচর্যা করায় চারা রোপণের প্রায় ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর প্রায় ১০-১২ দিনের মধ্যে ওইসব লাউ পরিপক্ব বা খাওয়ার উপযুক্ত হয়। প্রতিদিন ৬০/৭০টি লাউ বিক্রি করা যায় । লাউ চাষ করেই আমার সংসার চলছে।
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান বলেন, এই উপজেলায় প্রায় ২১ হেক্টর জমিতে লাউ উৎপাদন হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন লাউ উৎপাদন হবে। আমরা কৃষি অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত নিরাপদ লাউ উৎপাদনের ট্রেনিং দিয়ে থাকি। এছাড়াও মাঠপর্যায়ের যারা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন তারাও কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন।