মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে টেকনাফের ৯ কৃষক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে ২ রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ৯ জন কৃষক মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ফিরেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলেন, নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম,আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী পরিবার জানান, অপহরণকারীরা প্রথমে দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে ফোনে। অবশেষে দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ অপহৃত ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। অপহৃতদের মারধর করেছে ডাকাতরা। এখন তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী জানিয়েছেন, শনিবার সকাল টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে কৃষকদের অপহরণ করা হয়। এরপর জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহৃতদের পরিবারে ফোন করা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গোপনে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর এদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারীরা দ্রুত তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা এদের ছেড়ে দেয়।

মুক্তিপণ পরিশোর বিষয়টি তিনি জানেন না দাবি করে বলেন, ফেরা কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভোক্তভোগীদের তথ্য বলছে, এনিয়ে গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮৮জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।