চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ককটেল হামলা, দোকান লুটপাট
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছে ককটেল হামলা, লুটপাট ভাঙচুরের ঘটনা। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই এলাকার সাধারন মানুষ। অনেকেই নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্য জায়গায়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ভোর থেকেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চলছে। স্থানীয়দের দাবি-হামলাকারিরা দলবদ্ধ হয়ে টার্গেট করে ককটেলবাজি করে লুটপাট চালাচ্ছে। এতে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অন্তত ৮টি বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে ও লুটপাট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে দিনভর পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়েনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে বেশ কয়েক বছর ধরে ককটেলের সংস্কৃতি চলছে। সব বিরোধের জের ও প্রতিপক্ষ দমনে এখানে প্রাণঘাতি ককটেলের ব্যবহার হয়। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। দুই সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,আধিপত্যকে বিস্তারের জের ধরে গত তিন সপ্তাহ থেকে ককটেল বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে বাড়িঘর দোকানসহ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মী বাবুল মাস্টার (বাবু) সহ তার সঙ্গীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, টেন্ডার ছাড়াই সরকারি ছয়টি গাছ কেটে নেই বাবুল মাস্টার, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পর থেকে আমাদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে।
আমরা এতদিন মুখ খুলতে পারিনি তার কাছে আমরা জিম্মি ছিলাম আজ সরকার পতন হয়েছে আমরা কি তার কাছ থেকে রেহাই পাবনা সে এখনো আমাদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাড়িঘর দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। রাত্রে যে আমরা আমাদের পরিবার ছোট বাচ্চা নিয়ে বাসায় রাত্রি যাপন করব সেটা পাচ্ছিনা বাবুল মাস্টারের ভয়ে।এ বাবুল মাস্টারসহ তার লোকজন রাতের অন্ধকারে ককটেল বিস্ফোরণ করে বাড়িঘর লুটপাট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, শুরুতে এটি এলাকার আধিপকত্যর দ্বন্দ্ব থাকলেও পরে রাজনৈতিক ইন্ধন পাই দুই গ্রুপই। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে বুধবার এ দ্বন্দ্ব ভয়াবহ রূপ নেই। অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আরও বে-পরোয়া হয়ে উঠছে তারা।
এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলেন, বাড়ি ভাঙার বিষয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযুক্তরা সবাই আইনের আওতায় আসবে।