লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খুনিদের গ্রেফতারের দাবি
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কাজির দিঘির পাড় বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিরালাল দেবনাথ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলার জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। এসয়ম স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপত্তার দাবি জানান৷ মানববন্ধনে নিহতের ছেলে প্রিতম দেবনাথ ও তার স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী নুর নবী ফারুক, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিলন মন্ডল, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা, বাজুস জেলা শাখার সভাপতি সমীর কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক পরেশ কর্মকার প্রমুখ।
মানববন্ধনকারীরা জানান, গত শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কাজী দিঘির পাড় এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিরালাল দেবনাথকে চুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দুই দিন পার হলেও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতারেও সক্ষম হয়নি। ফলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
দ্রুত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা৷
মানববন্ধন শেষে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয় বাজুস নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, হিরালাল দেবনাথ সদর উপজেলার কাজীর দিঘির পাড় বাজারের মাতৃ শিল্পালয়ের মালিক। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যাবার পথে একটি নির্জন স্থানে দুর্বৃত্তরা তাকে গতিরোধ করে তার বুকে চুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছেলে প্রিতম দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রিতম দেবনাথ বলেন, দোকান বন্ধ করে বাবা বাইসাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন। আমি বাবার সামনেই মোটরসাইকেলে ছিলাম। এরমধ্যে একটি মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন লোক দ্রুত গতিতে আমাদের আগে গিয়ে সামনে বাড়ির কাছাকাছি রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। ঘটনাটি স্বাভাবিক ভেবে আমি বাড়ির রাস্তায় চলে যায়। তখন বাবা পেছন দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে বাবার সাইকেল গতিরোধ করে একজন সন্ত্রাসী চাকু দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। বাবাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ বলেন, জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।