সিলেটে অভিজাত মিষ্টান্ন প্রস্তুত ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান স্বাদ’র একটি শো-রুমে ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণে ৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরীর ‍জিতু মিয়ার পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দোকানের কর্মচারীসহ আহত হয়েছেন ৫ জন।

আহতরা হলেন-দোকানের কর্মচারী নুরুল আমিন ইমন (২০), ইসহাক আলী (৩৫), সাব্বির আহমদ (২২), আলা উদ্দিন (৩৫) ও আব্দুল হান্নান (৩০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিতু মিয়ার পয়েন্টে স্বাদের মূল শাখার কাছে পৃথক আরেকটি ছোট্ট দোকান রয়েছে। সেখানে শুধু স্বাদের মিষ্টিদ্রব্য বিক্রি করা হয়। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১০ দিকে বিকট শব্দে দোকানের ডিপ ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শো-রুমের গ্লাস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ও কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে স্বাদ এন্ড কোম্পানির ওই শাখার ম্যানেজার কামাল আহমদ জানান, আমরা দু’জনে বসে গল্প করছি। ভেতরে দোকানের এক কর্মচারীসহ আমি ছিলাম। বাইরে একজন সেলসম্যান ছিল। হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয় ও কয়েক সেকেন্ডের দোকানের সিলিংসহ অনেক ভেঙে যায় ও ধোঁয়া দেখা যায়। কোনো রকম বাইরে বের হয়ে আসি।

তিনি বলেন, কীভাবে ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। ফ্রিজের কমপ্রেসার থেকে যদি হয়ে থাকে তাহলে চেক করে বলা যাবে। ইমন নামে আমাদের সেলসম্যান আহত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেট'র দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা বলেন, ৯৯৯ আমাদের কাছে কল আসে। সেখানে ফ্রিজ কমপ্রেসার বিস্ফোরণ হয়। কোনো আগুন ছিল না। সেজন্য আমাদের কোনো টিম যায়নি। কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টিএনজেড গ্রুপে শ্রমিক আন্দোলনের ইন্ধনদাতা আব্দুল হালিমকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।

অভিযোগ রয়েছে শ্রমিকদের ইন্ধন দিয়ে টানা ৩ দিন মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি এবং প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

গ্রেফতারের পর বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানা পুলিশ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানা পুলিশ জানায়, টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ইন্ধন দিয়ে টানা ৩ দিন মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি এবং প্রতারণার মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে চট্রগ্রামের এক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গত শনিবার থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করে। এর জেরে ওই গ্রুপের ৫টিসহ আশপাশের অন্তত ৪৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হলে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাতাসে দিন দিন বাড়ছে দূষণ। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে মেগাসিটি ঢাকাও। পরিমাপ অনুযায়ী আজ ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। বায়ু দূষণের এ মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাড়ে নয়টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, আজ বিশ্বের বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করা লাহোরের দূষণ স্কোর ৬৯২। এই শহরের বাতাস মান গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে।

গতকাল বায়ুদূষণে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করলেও আজ দ্বিতীয় অবস্থানে নেমেছে ভারতে দিল্লি। তবে দূষণের পরিমাণ মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে। আজ এই শহরের দূষণ স্কোর ৫৫৪, অর্থাৎ সেখানকার বাতাসে দূষণ খানিকটা কমলেও এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে ভিয়েতনামের হানোই শহর আজ সকালে এর দূষণ স্কোর ছিল ১৮৩। পরিমাপক অনুযায়ী এ মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৮০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর। এই শহরের বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান নাগরিক আমিনুল ইসলাম এবং তার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এজেন্সি, 'বেসটিনেট' নিয়ে এখনো দ্বিধায় রয়েছে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া সরকার। বাংলাদেশ থেকে কোম্পানির দু’জনকে আটকের অনুরোধ করা হলেও তাতে আপাতত সায় দেয়নি মালয়েশিয়া। বরং মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পূর্বের মতোই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের অনলাইন নিবন্ধন এবং তথ্য সংগ্রহের কাজটি করে এই বেসটিনেট এসডিএন বিএইচডি।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল গত রোববার (১০ নভেম্বর ) জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেসটিনেটের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং তার সহযোগী মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে আটক করে দেশটিতে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই দু’জনকে আটকের জন্য একটি আবেদনপত্র পেয়েছেন তারা। তবে বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো নির্দিষ্ট কারণ আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পাঠানো আবেদনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ঢাকার উচিত হবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়া। এই দু’জনকে কী তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, নাকি তাদেরকে অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের মুখোমুখি করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকাকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। যদি তারা তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তাহলে তার জন্য নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে৷

গত প্রায় একযুগ ধরেই বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে৷ তবে এবারই প্রথম প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ঢাকা। বেসটিনেটের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে৷

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা যদি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্পষ্ট করে এবং মামলার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকে তাহলেই কেবল বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করতে পারে৷ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে বলে জানান তিনি৷

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ২০২৪ বাংলাদেশের ইন্টারপোল এই দুইজনকে আটকের অনুরোধ করে ইন্টারপোলের মালয়েশিয়া শাখাকে অনুরোধ করে৷ বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা এই অনুরোধটি জানিয়েছেন। তবে আবেদনপত্রে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া।

এদিকে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের আইনজীবী দাতুক এন সিভানান্থান জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগের প্রভাবে মালয়েশিয়ার ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রলাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফডাব্লিউসিএমএস) সঙ্গে বেসটিনেটের কাজে কোন দূরত্ব তৈরি হয়নি। বরং স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলছে।