ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২১১

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২১১ জন।  এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৮০০ জনে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৃতদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ১ জন করে উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে আছেন এক জন করে।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি এলাকার ২২১ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকার ১৯০ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ২৯১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৯৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮৩৮ জন, বাকি ২ হাজার ১৪২ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।

২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।